খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৪ লাখ টাকার ৮ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৫৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৩২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনাসচিব তরিকুল ইসলাম এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৬ মার্কিন ডলার। প্রাথমিক হিসাবে এটা ছিল ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। তিনি আরো জানান, নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমন্বিত অবকাঠামোগত সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে শিল্প স্থাপনের জন্য শিল্পোদ্যোক্তদের উৎসাহিতকরণ, জিডিপি-তে এসএমই খাতের অবদান বৃদ্ধিকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ এব সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও পরিবেশ দূষণ হ্রাসপূর্বক শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পায়ন তরান্বিতকরণ করা হবে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের শর্ত অনুসারে, কূপ খননের আগে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে ভূ-তাত্ত্বিক দ্বি-মাত্রিক (টু-ডি) জরিপের ফলাফল ভালো হলেই অনুসন্ধান করার অনুমতি পাওয়া যাবে।
পরে ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে সেখানে ১৬০ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার লাইন জরিপ করা হয় এবং ডিসেম্বর মাসে এর ফলাফল প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। দ্বিমাত্রিক জরিপের তথ্য-উপাত্ত থেকে বাপেক্স সেখানে গ্যাসের অস্তিত্বের ব্যাপারে আবারও আশাবাদী হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এই প্রকল্পটির কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এরপর ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্থায়নে ওই প্রকল্পটি আবার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বাপেক্স কারিগরি কারণ দেখিয়ে মোবারকপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাঁথিয়া উপজেলার পাগলাদহ, চন্ডিপুর ও বিষষ্ণুবাড়ীয়া মৌজায় প্রায় ৯ একর জমি ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়ে নতুন করে সেখানে প্রকল্পটি স্থানান্তর করে। অবকাঠামো নির্মাণের পর প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ‘রিগ’ না পাওয়া যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এ কূপ খনন শুরু করা যায়নি। এরপর ২০১৪ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে রিগ বসানোর কাজ শুরু হয় এবং মে মাসে শেষ হয়।