খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্ল্যান্টে লেগুণ বা ময়লার গর্ত বলতে কিছু নেই। এটি একটি পানি শোধনাগার, যেখানে শুধুমাত্র নদীর পানি শোধন করে রাজধানীতে সরবরাহ হয়। এখানে মাছ চাষের কোন সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফ জানতে চান, সায়েদাবাদে পানি শোধনাগারে মাছ চাষ বন্ধে সরকারের কার্যকর কোন পদক্ষেপ আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী আসনে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা জেলার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় গভীর নলকুপ সরবাহ করা হবে।
বেগম পিনু খান ( মহিলা আসন-২৩) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র বিভিন্ন পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের চলতি অর্থ বছরে ঢাকা জেলা দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২.৬৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ২৩.৭৩ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ১টি বাজার উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে।
এছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৬ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়র ২৯.১৩ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ১৩৫.১৫ মিটার ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ এবং ১টি বাজার উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
লক্ষীপুর-১ আসনের এম এ আউয়াল মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, চলতি অর্থবছরে লক্ষীপুর জেলায় পল্লী অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোন অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে কি না? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র আওতায় চলতি অর্থ বছরে লক্ষীপুর জেলায় পল্লী উন্নয়নে মোট ৭৩.২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১.০২ কোটি রায়পুর উপজেলায় ১৫.৯৮ কোটি রামগঞ্জ উপজেলায়, ১২.৯৬ কোটি রামগতি উপজেলায় ২৩.৪৯ কোটি এবং কমলনগর উপজেলায় ৯.৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।