খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় আল ইসলামিয়া মিশন নামে একটি আবাসিক স্কুলের এক ছাত্রকে শিক্ষক ও স্কুলের মালিকরা মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, শামিম মল্লিক নামে ওই মৃত কিশোরের বাবা-মার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ইতিমধ্যেই একজন শিক্ষক এবং স্কুল মালিকের এক ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শামিম মল্লিক মুর্শিদাবাদের বড়ঞা-তে আল ইসলামিয়া মিশন স্কুলে ভর্তি হয়েছিল এ বছরের গোড়াতেই।
তার বাড়িও ওই একই থানার মধ্যে, কিন্তু পড়াশুনোর সুবিধের কথা ভেবেই শামিমের বাবা-মা ওই আবাসিক স্কুলের হোস্টেলে ছেলেকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার বিকেলে যখন বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, শামিম হোস্টেলের বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে।
কিন্তু কেন সে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না-নিয়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়েছে, এই অপরাধে পরে তাকে বেদম প্রহার করা হয় বলে তার বাবা-মা অভিযোগ করেছেন। বড়ঞা থানাটি যার আওতায়, সেই কান্দি মহকুমার পুলিশ-প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকার বিবিসিকে বলেন, নিহত শামিমের বাবা-মা অভিযোগ করেছেন মিশন স্কুলের শিক্ষক হানিফ শেখ ও মালিকের ছেলে লিটন শেখ মিলেই তার ছেলেকে মারধর করে।
গভীর রাতে খবর পেয়ে তারা যখন গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান, তখন আর শামিম বেঁচে নেই। নিহতের বাবা-মা পুলিশকে জানান, বিকেলে তারা ছেলের কাছে গিয়েছিলেন কিছু বইখাতা ও পেন তার হাতে তুলে দিতে।
আল ইসলামিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ অবশ্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন শিশুটিকে মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি – সে আগে থেকেই অসুস্থ ছিল এবং গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ তার শরীর খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় মানুষ অবশ্য এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ –দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘক্ষণ তারা ফারাক্কা থেকে হলদিয়াগামী বাদশাহি রোড অবরোধ করে রাখেন। ভারতের স্কুলে ছাত্রদের ওপর শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ হামেশাই পাওয়া যায়, এমনকি তাতে মৃত্যুর ঘটনাও একেবারে বিরল নয়। খবর:বিবিসি।