Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: প্রাক্তন টিভি সঞ্চালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে সাসপেন্ড হলেন দুই চ্যানেল কর্তা। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগাড়ে কয়েক বছর ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ইরানের প্রেস টিভি’র সংবাদ পরিচালক হামিদ রেজা এমাদি এবং চ্যানেলের স্টুডিও কর্মাধ্যক্ষ পায়াম আফসারের বিরুদ্ধে। ওই টিভি চ্যানেলের প্রাক্তন সঞ্চালিকা বছর বত্রিশের শিনা শিরানির দাবি, টানা কয়েক বছর ধরে এই দুই ব্যক্তি তাঁর শ্লীলতাহানি করে।
ফেসবুকে টিভি চ্যানেল কর্তার সঙ্গে ফোনে বাক্যালাপের রেকর্ডিং পোস্ট করেছেন শিনা। রেকর্ডিংয়ে শোনা গেছে, যৌন মিলনের জন্য তাঁকে কাতর স্বরে অনুরোধ জানাচ্ছেন হামিদ। ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ইরানের ওই টিভি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন শিনা। তিনি এডিটর, প্রোডিউসার এবং সংবাদ পাঠিকার পদে ওই সংস্থায় চাকরি করেছেন। এরপর ছেলেকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন শিনা। তাঁর বর্তমান ঠিকানা এখনও অজানা। শিনার অভিযোগ স্বীকার করে আপাতত দুই অভিযুক্ত কর্তাকে সাসপেন্ড করেছে প্রেস টিভি।
ইরানের সাংবাদিক মাসিহ আলিনেজাদকে দেওয়া সাক্ষাৎ‍কারে শিনা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে আফসারের অশালীন ইঙ্গিত এড়িয়ে চললেও পরে ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে প্রতিহিংসা নিতে তৎ‍পর হন চ্যানেল কর্মাধ্যক্ষ। শিনার দাবি, প্রভাব খাটিয়ে অধস্তন কর্মীদের দিয়ে তাঁর আচরণের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নালিশ জানাতে থাকেন ওই কর্তা। এই নিয়ে চ্যানেল পর্যবেক্ষক এমাদির কাছে অভিযোগ করলে তাঁর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয় বলে শিনা জানিয়েছেন। কিন্তু এরপর শিনার সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার আবদার জানাতে শুরু করেন এমাদি নিজেও। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে শিনাকে একাধিক বার যৌন মিলনের প্রস্তাব দেন ওই টিভি কর্তা। ফেসবুকে পোস্ট করা রেকর্ডিং অনুসারে শিনাকে এমাদি বলেন, ‘সব সময় তোমাকে সাহায্য করেছি।
তোমার জন্য সর্বত্র আমিই থেকেছি। যখনই কিছু চেয়েছ, আমি তোমার পাশে দাঁড়িয়েছি। কাউকে খুন করতে তো বলছি না! বন্ধু হিসেবে আমায় একটু সাহায্য তো করলে পারো। বন্ধুর সঙ্গে যৌন মিলন করতে পারো।’ প্রাক্তন সহকর্মীর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন এমাদি। তাঁর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই রেকর্ডিং ভুয়ো। এমনকি এই বিষয়ে তিনি ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেস টিভি’র আরেক প্রাক্তন সঞ্চালিকা জানিয়েছেন, ‘শিনার অভিযোগ এবং টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং মিথ্যা নয়।
আমি ওদের দুজনের কণ্ঠস্বরই চিনি।’ তাঁর বক্তব্য, ‘শিনা একজন সম্মানজনক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু স্বামী না থাকায় নাবালক ছেলেকে মানুষ করার যাবতীয় দায়িত্ব তাঁকেই পালন করতে হয়। এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে প্রভাবশালীরা।’ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সম্প্রচার জগতে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্ভাব্য পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন হামিদ রেজা এমাদি।