Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2kখোলা বাজার২৪বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোটের্র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নি¤œআদালতের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসির সাজা দেন।
রায় প্রকাশের পর মাসের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিল করতে পারবে। অন্যথায় রায় কার্যকর করতো আর কোন বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন রাাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে আসামিদের আপিলের ওপর তিন কার্যদিবসে পেপারবুক উপস্থাপন শেষে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
আসামিপক্ষে শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই রায় ঘোষণার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হয়রত শাহজালালের মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এ হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন এবং আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।
৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসির সাজা দেন।
মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেয়া হয়।
পাঁচ আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানিয়েছে।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর ২০০৮ সালে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদনের আবেদন) হাইকার্টে শুনানির জন্য আসে। ২০০৯ সালে আসামিরা আপিল করেন। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি হাইকার্টে শুনানি শুরু হয়।