খোলা বাজার২৪বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার এবং মেহেরুন রুনি হত্যাকা-ের চতুর্থ বছর আজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর বিচার শুরু হয়নি। দাখিল হয়নি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় নিজেদের ভাড়া বাসায় হত্যার ঘটনার পরপরই তৎকালীন স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৪৮ মাস পার হয়ে গেলেও এখনও এ হত্যাকা-ের কারণ জানা যায়নি। আলোচিত এই হত্যাকা-ের কিনারা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন স্বজনরা।
২০১২ সাল থেকে আলোচিত এই হত্যাকা-ের তদন্ত করছে র্যাব। মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য উ”চ আদালতের আদেশ রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৯ বার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এই তদন্তের কোন কিনারা হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন পয়েন্টে মামলার তদন্ত চলছে। আমরা বিভিন্ন সময় কোর্টের চাহিদা অনুযায়ী রিপোর্ট দিচ্ছি। সর্বশেষ আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য আছে সেদিনও আমরা রিপোর্ট সাবমিট করব। তদন্তের মুল বিষয়গুলো তদন্তের স্বার্থে এই সময় বলা সম্ভব না। আমাদের কাছে যে সমস্ত তথ্য আছে সেগুলো যাচাই বাচাই হচ্ছে সেগুলো এখন বলা সম্ভব না, তদন্ত শেষে সব জানানো হবে’।
প্রথমে স্থানীয় থানা এবং পরে ঢাকার গুয়েন্দা পুলিশ এই মামলার তদন্ত শুরু করে। নজীরবিহীনভাবে দুই মাস পর তদন্তের বিষয়ে উ”চ আদালতে নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেয় ডিবির কর্মকর্তরা। এর পর র্যাব তদন্তের দায়িত্ব পায়। কিন্তু ৪ বছরেও হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা না হওয়ায় এখন হতাশ নিহত মেহেরুন রুনির ভাই মামলার বাদি নওশের আলম।
নওশের আলম বলেন, ‘আমরাতো কোন আশা দেখি না। তখনকার স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৪৮ মাস হয়ে গেল আমরা নুন্যতম অগ্রগতি দেখিনি বরং প্রতিদিন যে ধরনের কার্যকলাপ দেখছি সেটা হতাশার সৃষ্টি করছে। এই মামলা দীর্ঘায়িত হওয়ার দুটো কারণ থাকতে পারে একটা হল যারা তদন্ত করছে তাদের যোগ্যতার অভাব, আরেকটা হয়তো এই ঘটনার সাথে প্রভাবশালী কেউ জড়িত যার ফলে ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কার কাছে যাব, কার কাছে গেলে সমাধান হবে এরকম কিছু পাইনা’।
সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ একটি মহলের অনাগ্রহের কারণেই এই মামলার কিনারা হচ্ছে না। যদিও বরাবরি তদন্তে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা