Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়কে সর্বো”চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবিসি বাংলাকে এ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের প্রত্যেকটি অপরাধের ক্ষেত্রেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়েছে।
শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী শিশু অপহরণ এবং হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে ২৫০ টিরমত শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার শিকার হয়েছে ২৯২ টি শিশু। এই সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে শিশুদের নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে আসছে। এই বিষয়ে বিবিসি বাংলার প্রবাহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সর্বো”চ গুরুত্ব দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শিশু অপহরণ বা শিশু হত্যা কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে আমরা সবগুলো বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখেছি। সবগুলোতে দায়ী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করেছি। কয়েক জনের বিচার হয়েছে এবং সর্বো”চ দন্ড যেটা সেটাতে দন্ডিত হয়েছে। আমাদের কাছে যে সমস্ত খবরগুলি আসছে সেগুলো অধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, আমাদের দেশে যেটা হয় বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই সম্পত্তি বা লোভ-লালসার জন্যই শিশু অপহরণ, ঘুম, খুনেরমত ঘটনা ঘটে থাকে। আর একটা বিষয় হল কিশোর শ্রমিক এই খানেও তাদের অত্যাচার করেছে দু-একটা ঘটনা সেরকম ঘটেছে যেমন সিলেটে রাজিব হত্যা, সামিউল হত্যা। আমি মনে করি এসব ঘটনায় দ্রুত বিচার হয়েছে যার ফলে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। সেজন্য আমি মনে করি আমাদের যে কাজটি করা দরকার সেটা ঠিকভাবেই আমরা করছি।
শিশু অপহরণের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মুক্তিপণের টাকা দিয়েও শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সম্পদও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য অন্যতম হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে শিশু অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো এমন তথ্য দিচ্ছে।
যদিও শিশু অপহরণ এবং শিশু হত্যায় জড়িতের চিহ্নিত করা এবং বিচারের মুখোমুখি করার প্রশ্নে সরকার কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরছে। কিন্তু অনেক সময় সাধারণ মানুষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সহযোগিতা পায় না। প্রভাবশালী কেউ হলে অথবা ঘটনাটি আলোচিত হলে তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি সগযোগিতা করে এমন অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একরকম বিচার হবে আর অবহেলিত শিশুদের বিচার হবে না এই কথাটা ঠিক না। আমাদের যতগুলি বিচার হয়েছে সবগুলিই শিশু শ্রমিক তারা অবহেলিত সমাজ থেকে উঠে আসছে। কাজেই আমাদের কাছে আইন সবার জন্যই সমান। আইনের চোখে অপরাধী সবাই সমান।
বিবিসি বাংলা থেকে নেয়া