Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আসল টাইটানিক সাগরে ভেসেছিল সেই ১৯১২ সালে; উত্তর আটলান্টিক শহরে। প্রথম যাত্রাতেই ডুবে গিয়েছিল। সেই ঘটনার ১০৬ বছরের মাথায় ২০১৮ সালে সাগরে ভাসতে যাচ্ছে নকল টাইটানিক; সঙ্গে থাকবে নিরাপত্তার তাবৎ আয়োজন।
আরএমএস টাইটানিকের এই হালনাগাদ সংস্করণ অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্লিভ পালমার ও তাঁর কোম্পানি ব্লু স্টার লাইনের উদ্ভাবন। দেখতে কার্যত ১৯১২ সালের সেই টাইটানিকের মতোই হবে টাইটানিক-২। তবে সেটির সঙ্গে এর মিল যেমন আছে, অমিলও আছে ঢের। কিছু অমিল নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট আধুনিক শর্তগুলো মানতে গিয়ে; অন্যগুলো আবার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে গিয়ে।
সমুদ্র নিরাপত্তার আধুনিক শর্ত মানতে গিয়ে টাইটানিক-২-এর কাঠামোর পুরোটাই ঢালাই করে সংযুক্ত করা হয়েছে। আসলটি ছিল অসংখ্য টুকরোর সমাহার, যেগুলো গজাল বা এজাতীয় কিছু দিয়ে আটকানো ছিল। আবার নতুন টাইটানিক চওড়ায় চার মিটার বেশি।
বেলফাস্ট টেলিগ্রাফের এক খবর মোতাবেক, টাইটানিক-২ হবে ২৭০ মিটার লম্বা, ৫৩ মিটার উঁচু এবং ওজনে ৪০ হাজার টন। নয়তলা এই জাহাজে থাকবে ২ হাজার ৪০০ যাত্রী ও ৯০০ ক্রু সদস্যের থাকার ব্যবস্থা।
টাইটানিক-২-কে থাকছে পর্যাপ্ত লাইফবোট, যা আসল টাইটানিকে ছিল না। থাকছে সমস্যায় পড়লে সাগরেই লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আরও থাকবে একটি বোট ডেক, যেখানে আসল টাইটানিকের লাইফবোটগুলোর রেপ্লিকা রেখে দেওয়া হবে। সুইমিং পুল, টার্কিশ বাথ ও জিমের মতো সুবিধাও পাবেন যাত্রীরা।
আসল টাইটানিকে ছিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির টিকিট। এতেও সেই ব্যবস্থাই থাকছে।
আসল টাইটানিক যাত্রা শুরু করেছিল যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে উত্তর আটলান্টিকে বরফের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় সেটি। প্রাণহানি হয়েছিল দেড় হাজারের বেশি মানুষের। টাইটানিক-২ তার প্রথম যাত্রা শুরু করবে পূর্ব চীনের জিয়াংশু থেকে; গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
ব্লু স্টার লাইনের বিপণন বিভাগের পরিচালক জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলছেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আসল টাইটানিকের সঙ্গে টাইটানিক-২-এর মিল থাকলেও, আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় এটি কম যাবে না। বিশেষ করে নিরাপত্তার প্রশ্নে একুশ শতকের একটি জাহাজে যা যা থাকা দরকার, তার সবই থাকছে এতে। তিনি বলেন, নতুন এই টাইটানিকে প্রয়োজনের সময় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার অত্যাধুনিক প্রক্রিয়া, স্যাটেলাইটভিত্তিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, ডিজিটাল নেভিগেশন ও রাডার ব্যবস্থা—সবই থাকছে। এক কথায়, একুশ শতকের একটি জাহাজে আপনি যা যা প্রত্যাশা করেন, তার সবই পাবেন।