Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ঘটনাটি ১ ফেব্রুয়ারির। স্বজনের খোঁজে 14নেদারল্যান্ডস থেকে স্বামী সন্তানসহ বাংলাদেশে আসেন সুলতানা। দুদিন পর ৪ ফ্রেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজের জীবনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাবা মায়ের মৃত্যুর পর তার দাদা-দাদি ১৯৭৯ সালে নেদারল্যান্ডস ইন্টারকান্ট্রি চাইল্ড ওয়েলফেয়ারয়ের কাছে দত্তক দেন তাকে। নিজের কথার স্বপক্ষে কাগজপত্র উত্থাপনও করেন সুলতানা। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ও সন্তান।
এ দিকে খবর দেখে সৌদি আরবের মক্কায় সংবাদ সম্মেলন করে সুলতানাকে নিজের মেয়ে দাবি করেন গুলবাহার নামের এক নারী। গত রবিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত ৩টায় এনটিভির মক্কা প্রতিনিধিকে বাড়িতে ডেকে এ কথা জানান তিনি। এ সময় গুলবাহারের সঙ্গে ছিলেন তার পাঁচ ছেলে। খবর এনটিভির।
‘নেদারল্যান্ডস থেকে চট্টগ্রামের দোহাজারীতে গিয়ে নিজের পরিবারকে খুঁজছেন এক নারী’। গণমাধ্যমে এমন খবর ও ছবি দেখে সুলতানাকে নিজের মেয়ে বলে শনাক্ত করেন সৌদিপ্রবাসী এই গুলবাহার। তিনি ও তার ছেলেরা জানান, চট্টগ্রামের দোহাজারী রেলস্টেশন এলাকায় বাস করতেন তারা। গুলবাহারের স্বামীর নাম চান মিয়া। এই দম্পতির মোট পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল। এদের মধ্যে ছোট মেয়ের নাম ছিল শবে মেরাজ। তবে চান মিয়া আদর করে মেয়েকে ডাকতেন পুতুনী বলে। দিনের বেশিরভাগ সময় পুতুনী রেলস্টেশন এলাকায় খেলাধুলা করত। ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের দোহাজারীর বাড়ির এলাকা থেকে হারিয়ে যায় সে। সে সময় তার বয়স ছিল সাত-আট বছর।
গুলবাহার দাবি করছেন, এই পরিবারের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে পুতুনীই নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশে স্বজনদের খোঁজে আসা সুলতানা। গুলবাহারের ছেলেরা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর সত্যতা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন। পুতুনীর বাঁ হাতে টিকার দাগ আছে বলে জানান তারা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বোন হারিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর সৌদি আরবে চলে আসে পুরো পরিবার। এরপর থেকে পবিত্র কাবা শরিফসহ বিভিন্ন স্থানে পুতুনীকে খুঁজে পেতে প্রার্থনা করেছেন তারা।