Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : অজিঙ্ক রাহানে আউট হওয়ার পর নিজে না নেমে বা যুবরাজ সিংহকে না পাঠিয়ে হার্দিক পাণ্ড্যকে ব্যাট করতে পাঠালেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি! ঘরের ছেলেকে ব্যাট করতে নামতে দেখবেন বলে গ্যালারিতে যাঁরা অপেক্ষা করে ছিলেন, তাঁরা তো অবাক হলেনই। কমেন্ট্রিতে বসা বিশেষজ্ঞরাও এই নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিলেন। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এই গবেষণা কেন?
৬৯ রানে ম্যাচ জেতার পর ভারত অধিনায়ককে প্রশ্নটা করায় তিনি শুরুতেই জানিয়ে দিলেন, ‘‘গবেষণা কথাটা প্লিজ বলবেন না, ওটা ভারতীয় ক্রিকেট থেকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। গবেষণা বলে ভারতীয় ক্রিকেটে কিছু নেই। বরং বলতে পারেন অন্য রকম কিছু চেষ্টা করেছি। আমাদের টপ অর্ডার ভাল ব্যাট করেছে।
তাই সম্ভব হলেই সবাইকে সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।’’ আগের ম্যাচে ইংলিশ উইকেটের পর এই ম্যাচে টিপিক্যাল রাঁচি উইকেট। এই ব্যাপারে ভারত অধিনায়কের বক্তব্য, ‘‘ভাল উইকেট। প্রায় দুশো রান তোলার মতোই। তবে আমার তো মনে হয়, এই উইকেটে সবার জন্যই কিছু না কিছু ছিল।’’
দলের ফিল্ডিং নিয়ে খুশি ধোনি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের ফিল্ডাররা অ্যাভারেজের চেয়ে ভাল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যখন যা কিছু হতে পারে। একটা স্লোয়ার বলেও ম্যাচ বার করে নেওয়া যায়। তবে ফিল্ডিং সব সময় গুরুত্বপূর্ণ।’’ এ দিন স্টাম্পের পিছনে বেশ তৎপর ছিলেন ধোনি। দু’টি স্টাম্পিংয়ের সুযোগ কাজে লাগানোর পাশাপাশি একটি ক্যাচও নেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্টাম্পের পিছনে একটু আনঅর্থোডক্স হলে সেটা খারাপ হয় না। তবে আসল কৃতিত্ব বোলারদের।’’
ইনিংসের শুরুতেই ঝড়ের বেগে যে ইনিংসটি খেলেন শিখর ধবন, সেই ২৫ বলে ৫১-র জন্যই ভারত এ দিন শ্রীলঙ্কাকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে। তাঁর এই ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে ধবন বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে প্রথম হাফসেঞ্চুরি পেয়ে বেশ ভাল লাগছে। ব্যাটে-বলে খুব ভাল হচ্ছিল আজ।
নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলব বলেই ঠিক করে রেখেছিলাম। ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছি আজ। তবে প্রথম ছ’ওভারে ৭০ রান করতেই হবে, এমন কোনও প্ল্যান ছিল না আমাদের। ক্যাপ্টেন বলে দিয়েছিল, যেমন পারো ব্যাট করো। যখন বল ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে হতে শুরু করল, তখনই বুঝলাম সব ঠিকঠাক হতে চলেছে আজ।’’
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দীনেশ চণ্ডীমলও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পুরো কৃতিত্ব দিয়ে বললেন, ‘‘বোলিংয়ে আমরা খুব চেষ্টা করেছি। তবে ২৫টা বাড়তি রান দিয়ে ফেলি। এই ধরনের উইকেটে আসলে ইয়র্কার আর স্লোয়ারগুলো ঠিকমতো মিলিয়ে মিশিয়ে দিতে হত। এই ম্যাচটা থেকে আমাদের বোলাররা শিক্ষা নেবে। পরের ম্যাচে যেটা কাজে লাগবে।’’
ভারতের বোলাররাও যে এ দিনের ম্যাচে যথেষ্ট ভাল বল করেছেন, তা জানিয়ে আশিস নেহরা বলেন, ‘‘প্রথম ছ’ওভারে যে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা প্রচুর রান তোলার চেষ্টা করবে তা জানাই ছিল। হয়তো কিছু বেশি রান দিয়েছি। তবে উইকেট পাওয়াটাই ছিল আমাদের ফোকাস।’’ চার বছর পর ভারতীয় দলে ফিরে বোলিং করছেন প্রায় ৩৭ হতে চলা নেহরা।
এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘শরীর দিচ্ছে যত দিন, তত দিন বল করে যেতে অসুবিধা নেই। এখনও ১৪০-এর গতিতে বল করতে অসুবিধা হচ্ছে না। এই সুযোগটার জন্য এত বছর অপেক্ষা করে ছিলাম। এখন সেটা কাজে লাগানোই উচিত।’’ আনন্দবাজার পত্রিকা।