Wed. May 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশপ্রেমের ঘাটতি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার দুপুরে ঢাকার সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির রাউন্ড টেবিল মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে সুন্দরবন সুরক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা অনেক রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ধমক দেন, উস্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু তারা যতই অন্যায় করুক না কেন, একটি দেশকে তিনি কিছুই বলতে পারেন না। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের যে নীতি সেখানে দেখা যায় আমাদের দেশের জাতীয় স্বার্থ বিনষ্ট হচ্ছে সেখানে প্রতিবাদ করলেই কি অপরাধ ? বিএনপি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করে ।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ বিনষ্ঠ করে এ সরকার ভারতের সাথে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার একগুয়েমী ও বাকশালী কায়দায় সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ভারতের মধ্যে সুন্দরবনের একটা অংশ আছে সেখানে তারা পরিবেশের ক্ষতি হবে এ কারণে ভারত বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে নাই। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য ৭০শতাংশ ঋন ভারত থেকে আনতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে মনে হয় চারদিকে রশি দিয়ে বেধে মাথা ঝুলিয়ে রাখার মত।
প্রধানমন্ত্রী যা বলেন কারেন তার উল্টোটা এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ১/১১ গ্রেফতারের জন্য তার দলের অনেক মন্ত্রীরা পটভুমি তৈরি করার জন্য কাউকে কাউকে এবং একটি ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদককে দায়ী করেছেন। কাসিম বাজার কুঠিতে যারা ষড়যন্ত্র করলেন ওটা বড় হলো। কিন্তু যারা যুদ্ধের ময়দানে মীর জাফরের মত ভূমিকা পালন করলো , আপনি তাদেরকে মহিমান্বিত করলেন।
আপনার এক মন্ত্রী মঈন উদ্দীনকে আব্রাহম লিংকনের সাথে তুলনা করলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন,, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আব্দুল জলিল বলেছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী পরিষদে অনেক ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছে।কারন ঐ সময়ে অনেকেই নিজেকে আত্মরক্ষা করেছেন এবং নিজেকে গ্রেফতাররের হাত থেকে আড়াল করেছেন। অনেকে ঘরে ছিলেন। পরে তারা মন্ত্রী হয়েছেন। হুসেন মোহাম্মাদ এরশাদ বলেছেন ১/১১ এর জন্য শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। ১/১ তে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি ও জিয়া পরিবার।
রিজভী বলেন, এর্টনী জেনারেল মাহবুবুল আলমকে দেখলে আমার মনে হয় তিনি অসুখী। অন্যকে নির্যাতন করে নিজে আনন্দ বোধ করেন। এর্টনী জেনারেল অপেক্ষা করে থাকেন, বিচরকেরা কোন জামিন বাতিল করছেন কিনা। আটক আদেমটা বহাল রাখছেন কিনা। এটার জন্য যত ধরনের প্রক্রিয়া এমনকি আদালতের রায় উপেক্ষা করে তার অফিস থেকে জেল খানায় বলে দেওয়া হয় আমাদের নিদের্শ না যাওয়া পর্যন্ত আপনারা আসামীকে ছাড়বেন না। যে কারনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান, শওকত মাহমুদ এখন মুক্তি পান নাই। এসব করার উদ্দেশ্য তার চাকরী রক্ষা করা। কারন তিনি রাষ্ট্রের নয় প্রধানমন্ত্রীর চাকরী করেন।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট ড. মো. শাহজাহান, বিডিএসের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ মো.জাকির হোসেন, সিএইচআরএমের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ড. মো. জিয়াউর রহমান প্রমুখ ।