খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে ধরে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে ভিডিও করার ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর পবায়।
একদিন আগের এ ঘটনায় শনিবার রাতে পবা থানায় এক সেনা ও একজন র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন এক কিশোরের বাবা।
ওই মামলায় রোববার ভোরে উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রাম থেকে আজিজুর রহমান (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পবা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সিলেটে শিশু রাজন ও খুলনায় রাকিব হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বিচার শেষ হওয়ার তিন মাসের মাথায় নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটল।
পিটুনিতে আহত দুই কিশোরের মধ্যে জাহিদ হাসান বাগসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তাকে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পিটুনির শিকার আরেক কিশোর ইমনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
তিনি জানান, জাহিদের বাবা বাগসারা এলাকার ইমরান আলী শনিবার রাতে ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর রোববার ভোরে আজিজুর রহমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে নাসির উদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট। তিনি বগুড়া ক্যান্টনম্যান্টে দায়িত্বরত। আর পুলিশ কনস্টেবল সাগর বর্তমানে র্যাব সদরদপ্তরে আছেন। দুজনেই ছুটিতে চৌবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পবা থানার এসআই আবু তাহের জানান।
জাহিদের বাবা ইমরান বলেন, শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী রাকিবের একটি মোবাইল ফোন চুরি যায়। এ ঘটনায় আরেক প্রতিবেশী মাসুদ আলীর ছেলে ইমনকে ধরে আনে রাকিব।
“এরপর তারা ইমনকে মারধর করলে সে মোবাইল চুরির দায় জাহিদের উপর চাপিয়ে দেয়।”
ইমরানের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে জাহিদ নানার বাড়ি যাওয়ার পথে রাজশাহী বিমানবন্দরের সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় নাসির, সাগর, পলাশ, জামাল, রাজ্জাক, অনিক ও তুহিনসহ কয়েকজন যুবক।
“তারা হাত-পা বেঁধে রাত ১০টা পর্যন্ত আমার ছেলেকে মারধর করে। এই ঘটনা ভিডিও করে রেখে পরে ছেলেকে আমার হাতে ফিরিয়ে দেয়।”
মামলা করার পর থেকে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান আলী।