খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জবানবন্দি বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন আপিল বিভাগেও সাড়া পায়নি।
হাই কোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন আপিলের অনুমতি চেয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ রোববার তা খারিজ করে দেয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আগামী ৩ মার্চ এ মামলায় বাদীর জেরার দিন ধার্য রয়েছে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়।
বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও জামিনে থাকা খালেদা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় পাঁচ দিন তার অনুপস্থিতিতেই বাদীর সাক্ষ্য শোনে আদালত। গতবছর ১৮ জুলাই খালেদার উপস্থিতিতে শুনানির পর বিচারক বাদীকে আসামিপক্ষের জেরার জন্য দিন ঠিক করে দিলেও তা আটকে যায় খালেদা উচ্চ আদালতে আসায়।
এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে দুদক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা বাতিল ও নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে গতবছর ১৫ জুন হাই কোর্টে ‘ফৌজদারি রিভিশন’ আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
শুনানি শেষে ২৯ জুন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়।
এরপর গতবছর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আপিলের আবেদন করলে বিষয়টি রোববার শুনানির জন্য ওঠে।
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তার বৈধতা ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও উচ্চ আদালতে এসেছিলেন খালেদা জিয়া। তবে তার সব আবেদনই খারিজ হয়ে গেছে।