খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড গ্রাহকদের এ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পর বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেবার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সে জন্য এটিএম বুথের নিরাপত্তা কিভাবে আরও জোরদার করা যায় সেজন্য উদ্যেগ নেয়া হবে। এই ব্যাপারে আজই বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
এটিএমবুথের নিরাপত্তার বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা। তিনি বলেন, আমরা পদক্ষেপের আগে বলছি ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে। ঘটনা হচ্ছে তিনটা ব্যাংকের ৬ টি এটিএমবুথে স্কিনিং ডিভাইস এবং ভিডিও রেকর্ডার ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এত কিছু ব্যবহারকারির কার্ডের তথ্য এবং পিন নাম্বার হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে নকল কার্ড তৈরি করে সেই একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায় হ্যাকাররা। এরকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই বিষয়ে জানার সাথে সাথে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছি। এই বিষয়ে চেক করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা নিজেরা এই বিষয়ে অনুসন্ধান করছি কোথায় কি ঘটছে এটা জানার চেষ্টা করছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে ব্যাংকের কোন গাফিলতি ছিল কিনা বা ব্যাংকের কোন সিস্টেমের গাফিলতির কারণে বা ব্যাংকের কোন নিরাপত্তা জনিত গাফিলতির কারণে যদি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে অবশ্যই এই ঘটনার জন্য দায়ী যে ব্যাংক অথবা ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা সেটা সনাক্ত করব এবং গ্রহকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সে চেষ্টা করব।
শুভংকর সাহা আরও বলেন, এটিএমবুথ ব্যাংকের সম্পত্তি। সুতরাং এখানে যদি কোন সমস্যা হয় এর দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর। এটিএমবুথগুলোতে সিসিটিভি রাখার বিধান বাংলাদেশ ব্যাংক করেছে। সুতরাং সিসিটিভি যদি পর্যাপ্তভাবে মনিটরিং করা হত তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। একটি ব্যাংকের এটিএমবুথে একাধিক দিন এই ঘটনা ঘটেছে এটা আমরা জানতে পেরেছি। একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএমবুথ থেকে সেই ব্যাংকের গ্রাহক যেমন টাকা তুলতে পারে তেমনি অন্যান্য ব্যাংকের গ্রহকরা সেই ব্যাংকের কার্ড দিয়ে সেবা নিতে পারে। কাজেই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই প্রত্যেকটা ব্যাংকের উচিত এটিএমবুথগুলোকে নিরাপদ রাখা উচিত।
শুভংকর সাহা বলেন, আমরা তিনটা ব্যাংকে অডিট করার জন্য টিম পাঠিয়েছি। তারা দেখছে এই বিষয়ে ব্যাংকের কতটুকু ত্রুটি আছে এটা আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পরে দেখব কি করা যায়। তাছাড়া আগামীতে হয়তো ব্যাংকের জন্য আরও কিছু নির্দেশনা জারি করব। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শুভংকর সাহা বলেন, পৃকত প্রস্তাবে কোন গ্রাহক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে দায়ী ব্যাংক সেই অর্থ পরিশোধ করবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।