Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

39kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ :  প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর আচার খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছে রিয়া। তাঁর মতো রাজধানীর অসংখ্য শিক্ষার্থীও প্রতিদিন হাটে একই পথে। তবে এমন সর্বনাশা পথ তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কারোরই সে খেয়াল নেই।
বাহারী নাম দিয়ে, কি পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব আচার না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কোনো নির্দেশনাই মানার তোয়াক্কা নেই এখানে। বিক্রেতাদের দাবি এ আচার দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বাড়ির ছাদের কড়া রোদে শুকানো হচ্ছে চালতা। কম পুঁজিতে বেশিলাভ হওয়ায় পরিবারের সবাই নেমেছেন শুকানোর কাজে। নানা রঙে নানা ঢং-এ চলছে কাজ। আর এমন আচারই আগামী এক বছর খাবে ঢাকাবাসী।
ঢাকার সিদ্ধেশরী। এখানে স্কুলের সামনে আচার বিক্রি করেন চাঁদপুরের আবুল কাশেম। তার দাবি ভিকারুননেসা নুন স্কুলের সামনে ২২ বছরের ব্যবসা তার। আবুল কাশেম থাকেন মগবাজারে। নিজের বানানো আচার নিজেই প্যাকেটজাত করেন। জানালেন তার আচার খেয়ে এখনো কেউ অসুস্থ হননি।
আচার তৈরির জন্য বাংলাদেশের স্টেন্ডার্ড টেষ্টিং ইনস্টিটিউট বিএসটিআই এর অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও চাটনি বানাতে নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। এই সুযোগে বাজারের বেশির ভাগ আচার হয়ে যাচ্ছে চাটনি। বিক্রেতারা ভাসমান হওয়ায় তদারকি সংস্থাগুলোও ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হন না।
এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের ঊর্ধ্বতন পরীক্ষক (কৃষি ও খাদ্য) এনামুল হক বলেন, স্কুল কলেজের সামনে এসব ভাসমান ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা সব সংস্থার জন্যই কঠিন।
নামে আচার বা চাটনি যাই হোক আর তুচ্ছ বিষয় হিসেবে তদারকি সংস্থাগুলো যতোই দায় এড়িয়ে যাক ক্ষতির দিক থেকে শিশুদের কোনো কমতি হচ্ছে না।
তবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারিতে আনতে আরো সময় চাইলেন সরকারের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহম্মদ ইফতিখার ।