Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ :  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে না আসায় তার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়ে গেছে।
বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ এম আমিনুল ইসলাম এই শুনানির জন্য ১২ ‍এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
মামলার ১১ আসামির মধ্যে খালেদাসহ সাতজন এদিন আদালতে না এসে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। খালেদার পক্ষে ওই আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর এই শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও খালেদার সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। পরের বছর ৫ মে খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলা হওয়ার পর খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতির এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট, সেই সঙ্গে দেওয়া হয় রুল।
মামলা দায়ের কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা।
প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। খালেদার আবেদনে রুলের ওপর শুনানি করে গতবছর ১৮ জুন রায় দেয় হাই কোর্ট।
খালেদার করা আবেদন খারিজ করে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয় ওই রায়ে। সেই সঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর জজ আদালতে খালেদা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন এবং তা মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তারিখ দেয় আদালত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে কারাগারে আটক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে এদিন শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা শহীদুল ইসলাম, ইউছুফ হোসাইন ও সেলিম ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।