খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : আগের নির্বাচন গুলোতে সেনাবাহিনী আথবা বিজিবি মোতয়েন করতো ইসি। কিন্তু আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তাদের বাদ দিয়ে পুলিশের উপর আস্থা রাখছে নির্বাচন কমিশন ইসি। নির্বাচন কমিশন সুত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সেনাবাহিনী ও বিজিবা না রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের মাঠে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা পুলিশের উপর আস্থা রাখছি । কারণ পুলিশ আমাদের সব বিষয়ে সহায়তা করে। তাছাড়া বর্তমানে দেশের অবস্থা অনেক ভাল। তারপরেও যদি প্রয়োজন পরে বিজিবি ডাকা হতে পারে।
এদিকে সম্প্রতি পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এ নির্বাচনের আগের নির্বাচন থেকে অধিক সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে। এক ধাপে ৩৫০ ইউপির বেশিতে নির্বাচন করা হলে তাদের পক্ষে এ নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই তারা কম ইউনিয়নে নির্বাচন দিতে বলেছিল।
কিন্তু ১১ ফেব্র“য়ারী ছয় ধাপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ২২ মার্চ ৭৩৯ টি ইউনিয়নে ভোট হবে। এই ধাপে ২২ ফেব্র“য়ারির মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করতে হবে। এবারই প্রথম দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। ইসিতে ৪০টি নিবন্ধিত দলকে ১৮ ফেব্র“য়ারির মধ্যে প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জানাতে হবে।
এছাড়া ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ ৭১০টি, তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল ৭১১টি, ৪র্থ ধাপে ৭ মে ৭২৮টি, ৫ম ধাপে ২৮ মে ৭১৪টি এবং ৬ষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে।