Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47kখোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ভুয়া এলসির মাধ্যমে আড়াইশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি মনজেরুল ইসলামসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ঘটনার সময় তিনি জনতা ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
মনজেরুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, জনতা ব্যাংকের সাবেক এজিএম শামীম আহমেদ খান, জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রাক্তন ব্যবস্থাপক এ এস এম জহিরুল ইসলাম ও মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনতা ব্যাংকের স্থানীয় অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজ লিমিটেডের নামে এলসি খুলে মালামাল আমদানি না করে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১০ থেকে ১২ সালের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের বিষয়ে মনজেরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
“এলসিতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, স্বাক্ষর নেই। এটাকে যে ভুয়া এলসি বলা হচ্ছে তাও ঠিক নয়; এলসি খোলা হয়েছে, মালামাল (চিনি) এসেছে। তাহলে আমাকে কেন এতে জড়ানো হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। যা কিছু হয়েছে সবই তখনকার বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে করা হয়েছে। আমি সে সময় শাখার দায়িত্বে ছিলাম মাত্র।”
তার প্রাক্তন পদ থেকে এ ধরনের কাজ করা যায় না বলেও দাবি করেন মনজেরুল।
দুদকের মামলার বাদীর বিষয়ে তিনি বলেন, “উনি আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তাকে আমি বিস্তারিত জানিয়েছি। তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সেই ঢাকা ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে আমি নিজেই সাতটি মামলা করেছি। এর মাঝে ছয়টি ফৌজদারি একটি অর্থঋণ আদালতে। উনি (বাদী) আমার কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছিলেন আমি তাকে লিখিতভাবে বলেছি কাগজপত্র আদালতে জমা রয়েছে, আমার কাছে নেই।”
কাগজপত্র না পাওয়ায় এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন শাহজালাল ব্যাংকের বর্তমান ডিএমডি মনজেরুল।