খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ব্যাটিংয়ে এখনো তাঁর অনেক রেকর্ড অক্ষুণœ। অবসর নিয়ে ব্যাটটি তুলে রাখলেও রেকর্ডের চাকা কিন্তু গড়গড়িয়ে চলছেই। এবার রেকর্ড গড়েছেন বই বিক্রিতে। শচীনের আত্মজীবনীমূলক বই ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ বিক্রির দিক থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
এনডিটিভি ও জিটিভির খবরে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর প্রকাশিত হয় শচীন টেন্ডুলকারের আত্মজীবনীমূলক বই ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’। ছাপা সংস্করণে ফিকশন ও নন-ফিকশন—দুই ধরনের ক্যাটাগরিতেই এটি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বই। এখন পর্যন্ত বইটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৯ কপি। এটি নতুন একটি রেকর্ড। ভারতে ৮৯৯ রুপিতে বইটি বিক্রি হচ্ছে।
১৯৮৯-২০১৩ এই ২৪ বছরে টেন্ডুলকার ক্রিকেটের সম্ভব-অসম্ভব প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আছে তাঁর ১০০টি শতরানের অনন্য অর্জন। মুক্তির পর প্রথম দিনেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল শচীনের আত্মজীবনী। হ্যারি পটার সিরিজের লেখক জে কে রাউলিং, ওয়াল্টার ইসাকন থেকে স্টিভ জবস—সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন এই ক্রিকেট কিংবদন্তি। ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ বইটি সব থেকে বেশি বিক্রি হওয়া ‘হার্ড কভার অ্যাডাল্ট’ বইয়ের রেকর্ড গড়ে ‘লিমকা বুক অব রেকর্ডস’-এ প্রবেশ করেছে।
হ্যাচেট্টি ইন্ডিয়া প্রকাশিত এই বইটিতে শচীন টেন্ডুলকারের সহ-লেখক ছিলেন বুরিয়া মজুমদার। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলা পর্যন্ত পুরো ক্রিকেট জীবনের কোনো কিছুই বাদ দেননি বইটিতে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে অধিনায়ক থাকাকালে ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন লিটল জিনিয়াস, সে কথা তুলে ধরে আত্মজীবনীতে ভারতের সাবেক কোচ গ্রেগ চ্যাপেলকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলে অভিহিত করেছেন টেন্ডুলকার। এ ছাড়া প্রথম বাবা হওয়া, তাঁকে নিয়ে ডেনিস লিলির মূল্যায়ন এবং প্রথম চাইনিজ খাওয়ার গল্পসহ ক্রিকেট জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন টেন্ডুলকার।