Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ডিইউজে’র নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। অন্যদিকে, পছন্দের প্রার্থী বাছাই নিয়ে তিন হাজার সাংবাদিক ভোটারদের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবারের ডিইউজে’র নির্বাচনে ৫টি প্যানেলে ৮৬ জন প্রার্থী। সভাপতি পদে ড. উৎপল কুমার সরকার, কুদ্দুস আফ্রাদ, শাবান মাহমুদ, আবু জাফর সূর্য ও আবুল কালাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সাজ্জাদ আলম খান তপু, আবদুল মজিদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী, এম এ কুদ্দুস, খন্দকার মোজাম্মেল হক, মেহেদী হাসান ও রহমান মুস্তাফিজ। সহ-সভাপতি পদে অহিদুজ্জামান মিঞা, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম এবং মোস্তাক হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে শাহানা শিউলী, খায়রুল আলম, গাজী জহিরুল ইসলাম, রফিক আহমেদ ও রওশন ঝুনু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে আশারাফুল ইসলাম, পলি খান, ফজলে রেজওয়ান করিম, বরুন ভৌমিক নয়ন ও সেবিকা রাণী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জোবায়ের আহমেদ নবীন, মামুন আবেদীন, শাহজাহান মিঞা, মুস্তফা মনওয়ার সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচার সম্পাদক পদে আকতার হোসেন, আবু সাঈদ, আশীষ কুমার সেন, এম শাহজাহান ও নাজমুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অঞ্জন রহমান, খালেদ আহমেদ, মো. মফিজুর রহমান খান বাবু ও হামিদ মোহম্মাদ জসিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জনকল্যাণ সম্পাদক পদে এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, শাহ আলম ডাকুয়া ও শেখ নূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহাঙ্গীর খান বাবু, জি এম মাসুদ ঢালী, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল এবং রহমান মুফিজ।
এছাড়াও নির্বাহী পরিষদ সদস্য প্রার্থীরা হলেন : আলী মনসুর, ইকবাল হাসান কাজল, ইমরান আহমেদ, এ এম শাজাহান মিয়া, এ এস এম সাইফ আলী, এম এ হায়দার খান, কায়সার হাসান, খায়রুন্নেসা নিপা, জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, জি এম জোয়ারদার, দেবব্রত দত্ত, দেবাশীষ রায়, দুলাল খান, নাজু মির্জা, নাসির উদ্দিন বুলবুল, প্রণব কুমার মজুমদার, ফিরোজ কবির শাওন, মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, মর্তুজা হায়দার লিটন, মাহাবুব রেজা, জাকিউল ইসলাম বাবু, মো. তাওহীদ, মো. নাসির খান, মোহাম্মাদ মনিরুল আলম, মোস্তফা কামাল (সুমন মোস্তফা), মুঈদ খন্দকার, রারজানা সুলতানা, রেজাউল করিম রেজা, রফিকুল ইসলাম রিপন, শামীমা আক্তার (শামীমা দোলা), শেখ আরিফ বুলবন, সলিম উল্লাহ সেলিম, সাগর বিশ্বাস, সাহিন কাওসার ও সোহেলী চৌধুরী। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিন হাজার সাংবাদিক তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। তিনি আরো বলেন, ভোটার ছাড়া বাইরের কোন ব্যক্তি যাতে নির্বাচনের কোন প্রচার প্রচারণায় অংশ না নেয় তার জন্য সকল প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানানো জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশারের এক আচরণবিধিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে (সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে) প্রত্যেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে একজন করে এজেন্টের নাম লিখিতভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। নির্বাচন এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না। নির্বাচন চলাকালে জাল ভোট দেয়া প্রতিরোধ এবং ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করার দায়িত্ব এজেন্টদের। কোনো ভোটার সম্পর্কে এজেন্টরা আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিটি ভোটারের পরিচিতি চিহ্নিত করবে। ভুয়া ভোটার ধরা পড়লে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আচরণবিধিতে জানানো হয়।
আচরণবিধিতে আরো জানানো হয়, কোনো ভোটার ভোট দেয়ার সময় পোলিং বুথে মোবাইল ও ক্যামেরাসহ কোনো ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারবেন না। নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের পরিচিতি তুলে ধরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। এর বাইরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রার্থীদের কোনো ধরনের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড, স্টিকার ইত্যাদি লাগানো বা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো বা এ সংক্রান্ত কোনো লিফলেট প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। ডিইউজের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার প্রার্থিতা অথবা ভোট বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।