খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: গড়যধসসধফঢ়ঁৎ-ইড়সধরাজধানীর মোহাম্মদপুরে বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত আড়াইটা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। ওই বাসা থেকে বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে রাতের স্বল্প আলোতে সেখানে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব নয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আজ শনিবার সকালে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলেও জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এর আগে বাড্ডায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই সদস্যের মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোহাম্মদপুরের বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। আর গ্রেপ্তার হওয়ায় দুই সদস্যের বাসার আলামত দেখে আনসার উল্লাহা বাংলা টিমের সদস্য বলে ধারণা করছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম জানান, বাড্ডা এবং মোহাম্মদপুরের ঘটনা একইসূত্রে গাথা। গ্রেপ্তারকৃত দুই জঙ্গির মধ্যে একজনকে (কামাল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আটক করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, বাড্ডা তাদের হেড অফিস এবং ওই জঙ্গি মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিং, বাসা নম্বর ২৮, ব্লক-বি, আলহাজ মওলানা আব্দুল মালেকের বাড়িতে থাকেন। যেখানে তাদের বোমা তৈরির কারখানা। রাত ১০টার পরে সেখানে অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানের খবর আগে থেকেই টের পেয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। অভিযানে গিয়ে ওই বাসাটি তালাবন্ধ পাওয়া যায়। পরে সেখানে ঢোকার পর দেখা যায় হাড়িতে সদ্য রান্না করা ভাত ও ডিমের তরকারি।
ছয়তলা ভবনের পাঁচতলায় এক ফ্লাটে বোমা তৈরি করা হত। পুলিশ অভিযানে গিয়ে দেখতে পায় দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে বিপদ জনক লেখা কাগজের একাধিক টুকরা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এবং বিছানা সহ ফ্লাটের বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় বোমার নানা সরঞ্জাম এভাবে বর্ণনা দিয়ে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার। মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কোনো জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও। ওই বাসার মালিক মওলানা আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।