খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬নরসিংদীথেকে,:তোফাজ্জল হোসেনঃজেলার পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের সুধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই পৃথিবীতে যত জ্ঞ্যানী গুণীজন সৃষ্ঠি হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নিজ কর্মগুণেই গুণীজনে পরিণত হয়েছেন। আর তারা জীবনে সৃষ্টিশীল কাজ করেছেন বলেই সমাজের চোখে জ্ঞ্যানী-গুণী। যারা নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে তারা গুনীজন হতে পারেনা। গুনীজন হতে হলে সমাজের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হয়। আর সেই সমাজই উন্নত হয় যে সমাজে জ্ঞ্যানী গুনীরা নিজের স্বার্থকে ঠেলে দিয়ে সমাজরে জন্য কাজ করে।
গত শুক্রবার সকালে পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের সুধী সমাবেশে বক্তারা একথা গুলো বলেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মো. আমীর হোসাইন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন পলাশ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পলাশ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবীর মৃধা।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক জগবন্ধু দাসের উপস্থাপনায় আরো আলোচনা করেন কলেজের আজীবন দাতা সদস্য সোলেমান গাজী, ইছাখালী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আ ক ম রেজাউল করীম, পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ: আলী ভূইয়া, চরসিন্দুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক, চলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন, পলাশ থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খোকা, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাহাউদ্দিন গাজী, পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আ: বাছেদ বাচ্চু, আমান উল্লাহ ভূইয়া হিরন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের কলেজে প্রবেশের পথে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তৃতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমীর হোসাইন গাজী। এসময় এলাকাবাসী এই কলেজকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আরো বলেন, এই এলাকায় একটি মান সম্মত কলেজের অভাব ছিল দীর্ঘদিনের। আর সেই অভাব পুরণ হয় পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তাই এই কলেজকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে এই এলাকায় প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকাবাসী আশ্বাস প্রদান করেন। কলেজের অধ্যক্ষ আমীর হোসাইন গাজী তার কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেন, মাত্র ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০১০ সালে পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এরপর এই কলেজের নিবন্ধন নিয়ে করতে হয়েছে প্রচুর কষ্ট। সেই কষ্ট দুর হয়ে যায় যখন কলেজের প্রথম বর্ষেই পলাশ উপজেলার সেরা কলেজের স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর প্রতিষ্ঠার ৫ বছরে ৪টি ব্যাচ এই কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশসহ পলাশ উপজেলার সেরা এবং শিক্ষা বোর্ডের ৫১টি কলেজের তালিকায় স্থান পাওয়ায় সেই কষ্টের ইতিহাস আজ মধুর হয়ে গেছে। কলেজটিকে ঐতিহ্যবাহী পারুলিয়া এলাকার জনগন সহযোগিতা করলে স্থায়ী ক্যাম্পাস এই এলাকায়ই প্রতিষ্ঠা পাবে। আর এটি হলে এই এলাকার সাধারণ মানুষের ছেলে মেয়েরা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আদর্শ নাগরিক হিসেবে তৈরী হবে।
আলোচনা শেষে কলেজকে এই এলাকায় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার সহযোগাতার আশ্বাস দেন।