খোলা বাজার২৪,সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: এটিএম কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার এক বিদেশি এবং তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছয় দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ।
তারা হলেন পোল্যান্ডের ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসা ইউক্রেইনের নাগরিক পিওতর (পিটার) স্তেজেফান মাজুরেক, সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা রেজাউল করিম শাহীন, রেফাত আবেদিন রনি ও মোকসেদ আলি মাকসুদ।
রোববার আটক এই চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার ঢাকার আদালতে পাঠায়।
ডিবির এসআই সোহরাব মিয়া প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিলেন। মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে ছয়দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে আইনজীবী এইচ এম মাসুদ আদালতে বলেন, “পিটারকে অমানবিক, নিষ্ঠুর কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।
“তাকে সাত দিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে তোলা হয়নি, এতে দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।”
এ সময় শরীরের জামা খুলে জখমের চিহ্ন দেখান বিদেশি এই নাগরিক। এরপর তিনি বক্তব্য দিতে চাইলেও আদালত তা শোনেনি।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
বাংলাদেশের তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে ওই তথ্য ব্যবহার করে ক্লোন এটিএম কার্ড তৈরি করে সম্প্রতি গ্রাহকদের অজান্তে লাখ লাখ টাকা জালিয়াত চক্র হাতিয়ে নেওয়ার পর তার তদন্তে নামে ডিবি।
ইউসিবি ব্যাংক এই সংক্রান্ত মামলার এজাহারের সঙ্গে তাদের একটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া একটি বিদেশির ছবি পুলিশকে দিয়েছিল।
ওই ছবি শনাক্ত করে পিওতরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পিওতর পোল্যান্ডের একটি ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন, তার জন্ম ইউক্রেনে। তার কাছে জার্মানির একটি পরিচয়পত্রও রয়েছে।
ব্যব্সায়িক কারণ দেখিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসা পিওতর ঢাকায় এক নারীকে বিয়ে করে গুলশানে ভাড়া বাড়িতে সংসার পেতেছিলেন বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার পিওতর একটি আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের সদস্য। বুলগেরিয়া এবং ইউক্রেইনের এক নাগরিককে নিয়ে এই জালিয়াতির পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তিনি।