খোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানিয়েছেন, গত তিন মাসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৬টি লাগেজ খোয়া গেছে। এ বিষয়টি কারোরই কাম্য নয়, এত নিরাপত্তার মধ্যে কিভাবে এসব হচ্ছে, আমরা এ বিষয় গুলোর দিকে নজর রাখছি। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রীদের ব্যাগেজ ক্ষতিগ্রস্ত বা খোঁয়া যাওয়া ব্যতিক্রম ঘটনা। যাত্রীদের মালামাল পরিবহনকালে হ্যান্ডলিং সীমাবদ্ধতার কারণে কদাচিৎ ভুল গন্তব্যে বা শনাক্তহীন হিসেবে যাত্রাস্থলে লাগেজ থেকে যায়। এসব ব্যাগেজ সবসময়ই একশত ভাগ সিস্টেমের মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনাগুলো আর্ন্তজাতিক ব্যাগেজ ক্ষতিপূরণ আইনানুযায়ী নিষ্পত্তি করা হয়।
শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রীর ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যাগ পরিবহন করা হয়ে থাকে। এই বিশাল কর্মকান্ডে মাঝেমধ্যে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এসব ঘটনা কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ জাতীয় অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। বিগত তিন মাসের লাগেজ হারানোর পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, গত জানুয়ারি মাসে ১৩টি, গত বছরের ডিসেম্বরে ১৪টি ও নভেম্বরে ৯টি লাগেজ হারিয়েছে।
ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে ১৯০টি ডিজিটাল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক টার্মিনাল এবং বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ১২০টি সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে এলাকায় তিনটি সার্ভিল্যান্স ক্যামেরাও (আইপি বেসড) বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।