খোলা বাজার২৪ বুধবার,২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আজ ২৪ ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান জেবা আহমেদ খান ও সমিতির মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭১’র পর আবারো দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য এদেশের চৌকস সেনাবাহিনীর একঝাক নেতৃত্বকে ২৫ ফেব্র“য়ারি নৃশংসভাবে বিডিআর’র পিলখানায় হত্যা করা হয়। বিডিআর এর প্রধানসহ সেদিন যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল আজো সঠিকভাবে হত্যাকারীদের নেপথ্যের নায়কদের জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিডিআরদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তারা সেদিন অন্যান্য চৌকস বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু তাদের এই নৃশংস হত্যার পর শুধু বিডিআর হত্যার বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়নি বরং তাদের বিডিআর নামটিই বাদ দেয়া হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। যা জাতির জন্য কতটুকু প্রাপ্তি তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সেদিন যদি সঠিকভাবে বিডিআর হত্যার কুশীলবদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হতো তাহলে দেশে এত খুন-গুম ও শিশু হত্যা নির্বিচারে বাড়তো না। গত ৩ বছরেই সারাদেশ জুড়ে প্রায় ১ হাজার ৯০ জন শিশু নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকারি দল ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের কেউ গুমের তালিকা থেকে বাদ যায়নি। খোদ ঢাকা শহরে প্রায় অর্ধশত সরকারি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। আজো তাদের পরিবার সন্তানের ফিরে আসায় অপেক্ষায় রয়েছে। আর সেদিন যে সমস্ত পরিবার বিডিআর হত্যার পর বেঁচে রয়েছে আজো তাদের চোখের জল শুকায়নি। এই নৃশংস হত্যাকান্ড ইতিহাসের পাতায় যেকোন হত্যাকান্ডের চেয়ে বর্বর ও নৃশংস। নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিন এমন সময় আসবে যেদিন ইতিহাসের পাতায় সেই কালো রাতের নির্মম সত্য স্বচ্ছ পানির মত পরিস্কার হয়ে আসবে। যারা এই হত্যার সাথে যুক্ত রয়েছে এবং যারা নেপথ্যে মদদ দিয়েছে কেউ এই নির্মম হত্যাকান্ডের দায় এড়াতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানান।