খোলা বাজার২৪ বুধবার,২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:নারায়ণগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ১০ ঘণ্টা পর চার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা। এ নিয়ে এই ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছয়ে উন্নীত হল।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঝড়ের মধ্যে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গোগনগর সংলগ্ন নদীতে অন্য একটি ট্রলারের (বাল্কহেড) ধাক্কায় ডুবে গিয়েছিল এমভি রহমত উল্লাহ এক্সপ্রেস।
ডুবে যাওয়ার কিছু সময় পর দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু নিখোঁজ ছিলেন চারজন। তাদের খুঁজতে নামেন দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই চার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে বাহিনীর নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক দীনুমনি শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
নিহত শ্রমিকরা হলেন নেজাব আলী, সুজন, সবুজ, শাহীন, তালেব ও শরীফুল। এদের সবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়।
উদ্ধারকাজের তদারকিতে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাউছুল আযম লাশ দাফনের জন্য নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল বলে এর আরোহী শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হঠাৎ নদীতে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। তখন পাশে থাকা ঢাকামুখী অন্য একটি খালি বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বাল্কহেডের উপর উঠে আসে।”
এতে মাটিবাহী বাল্কহেডটি তলিয়ে যায়। এতে বেশির ভাগ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ঘুমিয়ে থাকা ছয়জন ডুবে যান।
ফতুল্লার বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, “দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। ঝড় শুরু হলে খালি বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য বাল্কহেডটির (ডুবে যাওয়া) উপরে উঠে যায়।”
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা দীনুমনি শর্মা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার অভিযানের জন্য ঢাকার থেকে আনতে হয়েছিল।