খোলা বাজার২৪ বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মাহফুজ আনাম শুধু ডিজিএফআইয়ের খবরই ছাপেননি, শেখ হাসিনাকে বিষোদগার করে অনেক সম্পাদকীয় লিখেছেন-এ অভিযোগ করে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, তার দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা ডেইলি স্টার সম্পাদকের শাস্তির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি অশুভ মহলের সহযোগিতায় এই মাহফুজ আনামরা পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতি থেকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তার পত্রিকায় এসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
হানিফ বলেন, তিনি (মাহফুজ আনাম) চাপিয়ে দেওয়া ওই সংবাদ পরিবেশন করে ক্ষান্ত হননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষোদগার করে অনেক সম্পাদকীয় ও কলাম লিখেছিলেন। সত্যতা যাচাই না করে খবর পরিবেশনের কারণে সভানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তাকে জেলে যেতে হয়েছিল।
কাজেই তার দায় এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মাহফুজ আনামের বিচারের যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে কেউ এই ধরনের ভুল না করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে সাহস না করে তার জন্য যারা দেশ থেকে গণতন্ত্র ও রাজনীতি ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন আলোচনায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এক প্রশ্নের মুখে বলেন, ২০০৭-৮ সালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর সরবরাহ করা ‘খবর’ যাচাই না করে ছাপানো ছিল তার সাংবাদিকতা জীবনের ‘বিরাট ভুল’। এ প্রসঙ্গ টেনে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, উনি স্বঃপ্রণোদিত হয়ে ভুল স্বীকার করেননি। কথার পিঠে কথা বেরিয়েছে।
ভবিষ্যতে কেউ যেন গণতন্ত্র ও রাজনীতি ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হতে সাহস না করে। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া উচিত। এ ছাড়াও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে যখন মামলা হচ্ছে তখন আমাদের সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে সাফাই গেয়ে বলছেন ‘সংবাদপত্রের ওপর নাকি আঘাত আনা হচ্ছে’। বলা হচ্ছে ‘ভুল স্বীকার করে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন’।