খোলা বাজার২৪ শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ঢাকার উত্তরায় বাসার রান্নাঘরের গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচজনের আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পরিবারটির ছোটছেলে দেড় বছরের জায়ান বিন শাহনেওয়াজ মারা যায়।
এর এক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয় তার বড় ভাই শাহালিন বিন শাহনেওয়াজের (১৫)।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের একটি সাততলা ভবনের সপ্তম তলার ফ্ল্যাটে রান্নাঘরের আগুনে ওই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন বলে জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আতিকুল আলম চৌধুরী।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
দগ্ধ বাকি তিনজন হলেন- গৃহকর্তা মো. শাহনেওয়াজ (৫০), তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (৪০) এবং তাদের মেজ ছেলে- জারিফ (১১)।
আবুল হাসনাত নামের এক ব্যক্তি সকাল ৮টার দিকে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে জানান হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক।
চিকিৎসকদের বরাতে দগ্ধ সবার অবস্থা গুরুতর জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা সকালে জানিয়েছিলেন, “শাহনেওয়াজের শরীরের ৯৫ ভাগ ও তার স্ত্রীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের তিন ছেলের মধ্যে জারিফ ছাড়া বাকি দুজনেরও শরীরও ৭০ শতাংশের বেশি পুড়েছে।”
মোজাম্মেল আরও বলেন, “হাসনাত আমাদের বলেছেন, সকালে ওই বাড়ির রান্নাঘর থেকে বিকট শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।”
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, ওই বাসার গ্যাসের চুলা বা লাইনে সমস্যা ছিল। এর ফলে রান্নাঘরে গ্যাস জমে যায় এবং সকালে চুলা জ্বালাতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
দগ্ধ পরিবারটির আত্মীয় স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোজ্জাম্মেল বলেন, “দগ্ধ শাহনেওয়াজ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রকৌশল বিভাগে মেইনটেন্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন।
“তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। উত্তরার ওই বাসায় গত ২০ ফেব্র“য়ারি পরিবার নিয়ে উঠেছিলেন তিনি।