খোলা বাজার২৪ শনিবার,২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিন ‘জেএমবি নেতাকে’ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মামলায় ১৮ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে আদালত।
তারা হলেন দেবীগঞ্জ শহরের কামাতপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক হারেজ আলী (৩২) ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মসজিদপাড়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রমজান আলী (২২)।
আলমগীর বর্তমানে ১৫ দিনের রিমান্ডে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই। জাহাঙ্গীরসহ তিনজন আগে গ্রেপ্তার হন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আমিনুর রহমান সংবাদিকদের বলেন, শনিবার পুলিশ এই তিন আসামিকে ২০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মার্জিয়া খাতুন ১৮ দিনের অনুমতি দেন।
“পুলিশ হত্যা মামলায় ১০ দিন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় ১০ দিনের জন্য আবেদন করে। তবে আদালত হত্যা মামলায় ১০ দিন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় ৮ দিনের অনুমতি দেয়।”
রিমান্ডের আবেদন শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।
গত ২১ ফেব্র“য়রি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তাদের গুলি ও বোমার বিস্ফোরণে আহত হন আরও দুইজন।
ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ থানায় হত্যা মামলা করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ আরেকটি মামলা করে। দুটি মামলাই অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের নামে দায়ের করা হয়।
এই তিনজন ছাড়াও ঘটনার দিন গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৫৫), বাবুল হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) বর্তমানে ১৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে আছেন।