খোলা বাজার২৪ শনিবার,২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ওজন কমিয়ে ছিপছিপে গড়ন পেতে কত কিছুই না করতে হয়। তবে সঠিকভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা না গেলে পুরোটাই হবে পণ্ডশ্রম।স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ওজন কমানোর ভুলগুলো উল্লেখ করে সংশোধনের উপায় তুলে ধরা হয়। সেগুলো অবলম্বনেই এই প্রতিবেদন।
কেবল কঠোর পরিশ্রমের ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়: ঘাম ঝরিয়ে কঠোর পরিশ্রমের ব্যায়ামের পাশাপাশি দেহ ও মন শিথিলকারী ব্যায়াম অর্থাৎ ইয়োগাও ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ইয়োগার মাধ্যমে কর্টিসল নামক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের মাত্রা হ্রাস পায়। সাইকোনিউরোএন্ডোক্রাইনোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, কর্টিসল হরমোন স্থূল ও অধিক ক্ষুধার্ত করে তোলে। তাই কঠোর ব্যায়ামের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত একদিন ইয়োগা করা উচিত।
ঘুম ভাঙার এক ঘণ্টার মধ্যেই নাস্তা নয়: আগে মনে করা হত সকালে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে নাস্তা করা ওজন কমানোর জন্য ভালো। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় এর বিপরীত তথ্য পাওয়া গেছে। দিনের শুরুতে একটু দেরিতে খাবার খেলে আপনার সারাদিনের খাবারের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে।
‘সেল মেটাবলিজম’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, দিনে যত কম বার খাবার খাওয়া হবে ওজন কমানো ততটাই সহজ হবে। আগের দিন রাতের খাবারের সঙ্গে পরবর্তী দিনের প্রথম খাবারের মাঝে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ব্যবধান রাখা উচিত।
নিয়মিত ওজন মাপুন: নিজের ওজন মাপা নিয়ে সংকোচ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোটেও উপকারী নয়। নিয়মিত ওজন মাপলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক বোঝা যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাও সহজ হয়।।
শর্করা বাদ দিলে চলবে না: শর্করা বা কার্বোহাইড্রেইট এড়িয়ে ওজন কমানোর সেকেলে চিন্তা এরইমধ্যে অবৈজ্ঞানিক প্রমাণিত হয়েছে। তাই শর্করার পরিমাণের কথা না ভেবে ভাবতে হবে শর্করার ধরনের কথা। পরিশোধিত ও সরল শর্করা সহজেই হজম হয়ে যায়, ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি রক্তের শর্করাও বৃদ্ধি করে। অপরদিকে, আঁশসমৃদ্ধ অপরিশোধিত শর্করা হজম হতে সময় নেয়, রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
ক্যালোরি নয়, অনুপাত মেপে খান: ক্যালোরির পরিমাণ মেপে খাওয়াদাওয়া সবসময় নির্ভুল হয় না, ওজন কমাতেও সবসময় কার্যকরি নয়। এরচেয়ে প্লেটের মাপের সঙ্গে খাবারের অনুপাতে সামঞ্জস্য রেখে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। খাবারে শর্করাজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজি ও ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। শাকসবজির আঁশ ওজন কমাতে সহায়ক।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন: সবরকমের খাবার অল্প করে খাওয়ার চেয়ে, যেসব খাবার অস্বাস্থ্যকর ও ওজন বাড়ায় সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে কেটে ফেলাই ভালো। এছাড়াও যেসব খাবার ক্ষুধা আর ওজন বাড়িয়ে দেয় সেগুলো মাঝে সাঝে খাওয়াও ক্ষতিকর। তাই ওজন কমানোর জন্য এগুলো একেবারে বর্জন করাই ভালো।
চর্বি এড়ালে চলবে না: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে প্রতিদিনই উপকারী চর্বিজাতীয় উপাদান থাকা জরুরি। চর্বি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদানগুলোর একটি যা কেবল ওজন কমাতেই সহায়ক নয়, সেই সঙ্গে খাবারের তৃপ্তি বাড়ায়, মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্যও উপকারী।