Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

imagesখোলা বাজার২৪ রবিবার,২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পিরোজপুর জেলায় এবার আমন চালের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চলতি বছরে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৩০ মে. টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ হাজার মে. টন এবং গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মে. টন বেশি।
পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১০ হাজার ২১০ হেক্টরে ১৭ হাজার ৬৬৩ মে. টন, জিয়ানগরে ৫ হাজার ৪২০ হেক্টরে ৯ হাজার ৩৯৩ মে. টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টরে ৭ হাজার ৬৮৫ মে. টন, নেছারাবাদে ৬ হাজার ১৫৮ হেক্টরে ১০ হাজার ৫৪৮ মে. টন, নাজিরপুরে ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টরে ১২ হাজার ৬শ’ মে. টন, ভান্ডারিয়ায় ৮ হাজার ২ শ’ হেক্টরে ১৩ হাজার ৬৯৫ মে. টন এবং মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার হেক্টরে ৩৮ হাজার ৪৭ মে. টন চাল উৎপাদন এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
চাষাবাদ শেষে দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৯২ হেক্টরে অধিক আমন ধানের চাষ করা হয়েছে এবং ফসল কর্তন, মাড়াই ও ধান থেকে চালে রূপান্তরের পর দেখা গেছে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আশাতীতভাবে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হাইব্রীড, উফশী, স্থানীয় রোপা, স্থানীয় বোনা মিলিয়ে ৬৪ হাজার ১৮০ হেক্টরে আমনের চাষ করা হয় এবং চাল উৎপাদনের পরিমান দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৩০ মেঃটন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন তালুকদার বাসসকে জানান, আমন ধানের শীষ বের হওয়ার সময় আমন ফসলের কিছু কিছু ক্ষেতে পোকার আক্রমন শুরু হলেও উৎপাদনের কোন ক্ষতি হয়নি। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ মাঠে মাঠে ঘুরে পাতামোড়ানো এবং পামরী পোকার দমনে আলোক ফাঁদ এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী চাষীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সহজেই পোকা দমন ও বিস্তার রোধ সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চাষীরা আমন চাষ মৌসুমে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করায় তাদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০৫ মেঃটন সারের সাশ্রয় হয়েছে। ২ হাজার ১১০ হেক্টরে আমন মৌসুমে ২৩২ মেঃটন গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, পিরোজপুরে ক্রমান্বয়ে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার চাষীদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।