খোলা বাজার২৪ রবিবার,২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের বাইরে এক ব্যক্তি তার পরিবারের ১৪ সদস্যকে জবাই করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। ওই ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। শনিবার দিবাগত রাতে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার কাসরওয়াদাভালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হত্যাকারীর নাম হাসনাইন আনোয়ার ওয়াড়েকর (৩৫)। হত্যাকান্ডের শিকার ১৪ জনই তার নিকট আত্মীয়। এর মধ্যে সাত শিশু, ছয় নারী ও এক পুরুষ। নারীদের মধ্যে হাসনাইনের স্ত্রীও রয়েছেন।
হত্যাকান্ডের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন ওয়াড়েকরের এক বোন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ বলেছে, মুম্বাই থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে থানে জেলায় একটি বাড়িতে ওয়াড়েকরের পরিবারের সদস্যরা একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। এরপর চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওয়াড়েকর তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের গলা কেটে হত্যা করে। পরে ওয়াড়েকর আত্মহত্যা করেন।
থানে পুলিশের মুখপাত্র গজানন লক্ষ্মণ কাবদুলে বলেন, নিজ পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে হত্যার পর হত্যাকারী ফাঁসিতে ঝুলেছেন। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও হত্যাকারীর বোনের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। নগরীর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সাংঘাতিক ট্রমায় ভূগছেন।’
থানে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আশুতোষ দাম্বরি বলেন, ‘প্রাথমিক স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে মনে হচ্ছে, পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ার পর অভিযুক্ত হত্যাকারী ছুরি দিয়ে তাদের হত্যা করেছে। কারণ হত্যাকারীর লাশের পাশে একটি ছুরি পাওয়া গেছে।’