খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০১৬ : কক্সবাজার জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ১০টির বেশি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণীর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, সন্ধ্যায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হট্টগোল আর ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে যুবদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সটকে পড়েন। এ ঘটনার আগে যুবদলের শতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ আবুর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, কক্সবাজার পৌর যুবদলের সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল, জেলা যুবদল নেতা মসিউর রহমান জুয়েল, জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার পৌর যুবদলের সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ জানান, স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়করণ ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল-যুবদলের কোনো কমিটিতে ছিলেন না এমন লোকও জেলা যুবদলের কমিটিতে স্থান পেয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিলেন এমন অনেকেই কমিটিতে স্থান পাননি। তাছাড়া কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতাদের পদমর্যাদাও রক্ষা করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা যুবদলের কমিটি আবারও পুনর্গঠন করা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকবে। সেইসঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যুবদলের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিএনপির কার্যালয়সহ যুবদলের যেকোনো কর্মসূচিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।’
এক বছর আগে ছৈয়দ আহমদ উজ্জ্বলকে সভাপতি এবং জিশান উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদলের জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় কমিটি। এছাড়া ওই সময় কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ২ জনের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে একজনের নামও ঘোষণা করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটনকে ‘অন্য রকম’ ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনিয়ম ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া হয়নি। এক বছর আগে কেন্দ্রিয় কমিটি ঘোষিত ৫ জনের কমিটির সবার সম্মতিতেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী নেতা সানাউল্লাহ আবুও উপস্থিত ছিলেন।’
জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান ওসি আসলাম হেসেন। এ ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।