খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১ মার্চ ২০১৬ : ২৯ ফেব্র“য়ারি। এমন দিন আসতে পারে চার বছরে মাত্র একবারই। বাড়তি পাওয়া একটা দিন চুটিয়ে উপভোগ করার পরামর্শ যেমন আছে, তেমনই কেউ কেউ বলে থাকেন, এটি নাকি ফাঁকি দিবস। তবে মারাত্মক কথা শোনাচ্ছেন একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, এই দিনে বিয়ে হলে তা না টেকার সম্ভাবনা প্রবল।
চলতি রীতি অনুযায়ী ছেলেরাই হাঁটু মুড়ে বসে মেয়েদের প্রপোজ করে। কিন্তু ব্যতিক্রমী দিনে সবই ব্যতিক্রম। তাই এদিন উলটোপুরাণ। অর্থাৎ এ দিন ছেলেরা নয়, মেয়েরা ছেলেদের সামনে একই কায়দায় বসে প্রপোজ করে। এটাই ২৯ ফেব্র“য়ারির নিয়ম।
এ শুধু এ দিনের বতিক্রম নয়, চেনা পুরুষতন্ত্রের ছকেও ব্যতিক্রম। আর তাতেই ঘচে বিপত্তি। পল কোলরিজ নামে জনৈক প্রাক্তন বিচারপতির তৈরি করা ম্যারেজ ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, পুরুষই প্রপোজ করার দীর্ঘকালীন প্রথা মানুষের সহজাত প্রবণতার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। তার ব্যতিক্রম হলেই গোলমাল বাধে। আসলে পুরুষরা যখন এই কায়দায় প্রপোজ করে তখন এক অধিকার বোধ জাগে।
কোনও কেনা জিনিসের প্রতি ক্রেতার যে অধিকার বোধ, এ বোধ তারি সমতুল। কিন্তু উলটোটি যখন ঘচে, তখন পুরুষরা এই অনুভবে থাকে না। দেখা গিয়েছে একসঙ্গে থাকেন অথচ বিয়ে করেননি এরকম ৩২ শতাংশ মহিলা পুরুষের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাননি। একইরকম ক্ষেত্রে মহিলাদের সম্মতির জন্য অপেক্ষা কের অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশ। পুরো বিষয়টির মধ্যে পুরুষতন্ত্রের তীব্র প্রভাব থাকলেও, বাস্তব চিত্র এটাই। আর তাই এই ম্যারেজ ফাউন্ডেশনের সতর্কবার্তা যে, ২৯ ফেব্র“য়ারির বিয়ে না টেকার সম্ভাবনা বেশি। কেননা এদিন মহিলাদেরই প্রপোজ করতে হবে। এবং পুরুষের সম্মতি না পেয়ে মহিলাদের অববিবাহিত থেকে যাওয়ার হারও বেশি। তাছাড়া বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতি পুরুষের স্বাভিবিক অধিকারবোধও এক্ষেত্রে কাজ করে না। গতানুগতিক নিয়ম মানুষকে যে অভ্যাসের নিগড়ে বেঁধে ফেলে, তার ব্যতিক্রম হয় বলে ২৯ ফেব্র“য়ারির কপালে ঝুলছে বিয়ে ভাঙার খাঁড়া।