খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ মার্চ ২০১৬ : রাজধানীর রামপুরায় ভাই-বোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জব্দ করা আলামত ডিএনএ প্রোফাইলিং ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম বুধবার এ অনুমতি দেন।
এর আগে এ ঘটনায় পুলিশের জব্দ করা আলামত ডিএনএ প্রোফাইলিং ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই সোমেন কুমার বড়ুয়া।
জব্দ করা আলামতের মধ্যে রয়েছে বালিশ, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, টিস্যু ও কম্বল। আর রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার বোতলের সংরক্ষিত পানি ।
এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিচারক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন। গত সোমবার দুপুরে বনশ্রীর বাসায় দুই শিশুকে এক বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পোশাক ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ ও মাহফুজা মালেক জেসমিনের মেয়ে নুসরাত আমান অরণী (১৪) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে ও ছেলে আলভী আমান (৬) হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারিতে পড়ত।
এই কক্ষের বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় দুই শিশুকে এই কক্ষের বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় দুই শিশুকে শিশু দুটির পরিবার থেকে প্রাথমিক অবস্থায় জানানো হয়েছিল, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। একটি চায়নিজ রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দুই ভাই-বোন মারা যায়।
কিন্তু মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা শিশু দুটির শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে জানিয়ে এটিকে ‘হত্যাজনিত’ মৃত্যু বলে মত দেন।
এরপর ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়ার পর ভবনের দুই দারোয়ান, গৃহশিক্ষিকা এবং এক আত্মীয়কেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৩ এর ক্যাম্পে নেওয়া হয়। তারা এখনও র্যাব হেফাজতে রয়েছেন।
আর ‘কেন্ট’ নামে বনশ্রীর যে রেস্তোরাঁর খাবার তারা খেয়েছিল, তার ব্যবস্থাপক ও প্রধান বাবুর্চিসহ তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে সোমবারই আদালতে তোলে রামপুরা পুলিশ। এছাড়া বুধবার দুই শিশুর বাবা, মা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামালপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে র্যাবের গাড়িতে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে। লাশ দাফনের জন্য শিশুটির বাবা-মা জামালপুরে গিয়েছিলেন।