খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০১৬: তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজেট ঘাটতি মেটাতে এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ঋণদাতা গোষ্ঠির কাছে ঋণ চাইছে তেল সম্পদে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র সৌদি আরব। সৌদি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে। যদিও চিঠিতে ঠিক কি পরিমান অর্থ চাওয়া হয়েছে সেবিষয়ে জানা না গেলেও, গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপিডেন্টের সূত্র অনুসারে এই ঋণের পরিমান দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
ঋণ চাওয়ার ঘটনায় সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রিয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবে না বলে জানানো হয়। সৌদিআরবের এই ঋণ চাওয়া স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় দেশিয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সৌদিআরব ঋণ গ্রহন করতে বাধ্য হচ্ছে।
সৌদি সরকার ইতোমধ্যেই আভ্যন্তরীন বাজারে তেলের দাম চল্লিশ শতাংশ বাড়িয়েছে। অবশ্য দেশের আভ্যন্তরীন বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর কারণ সার্বিক তেলের দাম কমে যাওয়ার চেয়েও গত বছরের উচ্চাকাক্সক্ষী বাজেটই অনেকাংশে দায়ি। গত অর্থ বছরের একশ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাকাক্সক্ষী বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই অর্থনৈতিকভাবে হোচট খাচ্ছিল দেশটি। আর সেই ঘাটতি বাজেট মোকাবেলার জন্যই মূলত স্থানীয় বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়।
আগামী পাঁচ বছর দেশটি তার জনগণের জন্য পানি, বিদ্যুত, গ্যাস এবং জ্বালানি তেলে কোনো ভর্তুকি দেবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই সৌদি রাজতন্ত্র তার জনগণের জন্য তেলের মূল কম ধরতো এতদিন। কিন্তু চলতি অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে সেই ঐতিহ্য থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে দেশটি। এছাড়াও কোমল পানীয়, তামাকসহ অন্যান্য অনেক দ্রব্যের উপর ভ্যাটের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তা করছে দেশটির শুল্ক বিভাগ।