খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬ : পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশ গড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদক্ষ ক্যাপ্টেন। দেশের উন্নয়নসহ প্রতিটি কার্যক্রমে সফলতায় বাংলাদেশর নেতৃত্ব দিয়ে যে জয় এনে দিয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সুদক্ষ ক্যাপ্টেনের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহিন ঝুঁড়ি বলা হয়েছিল। বাংলাদেশ কখনো অর্থনৈতিকভাবে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না বলেও ধারণা ছিল তাদের। কিন্তু শেখ হাসিনার ৭ বছরে কল্পনাতিত উন্নয়ন দেখে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন তারা। পরিকল্পনামন্ত্রী তার জীবনী নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি লেখাপড়া করতে স্কুলের ফি দিতে পারিনি। আমার এলাকার লোকজন আমাকে ভালবেসে স্কুলের ফি দিলে আমি পড়াশোনা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। আমি টিউশনিও করেছি।
তোমারা কখনো জীবনের কাছে হেরে যাবে না। প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে স্বপ্ন দেখে। তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিবে না। শিক্ষদের সম্মান করবে। আত্বীয় স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে না। কাউকে নিন্দা করবে না। ভাল কাজ আর সৎ থাকলে জীবনে উন্নতি করতে পারবে। মন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনীতিবীদদের ধারণা, শেখ হাসিনার চেষ্টায় দেশ যে ভাবে এগিয়ে চলছে তাতে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ২৩তম স্থানে উন্নিত হবে।
এ ছাড়াও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ঢাকার কেরাণীঞ্জের জানজট নিরসনের জন্য কেরাণীগঞ্জের সৈয়দপুর থেকে মাওয়া মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি বাইপাস সড়ক তৈরি, ইছামতি নদী খনন ও ঢাকা বান্দুরাসহ মৈনট ঘাট পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটিকে রাস্তা প্রসস্ত করে মহাসড়কে উন্নিত করার আশ্বাস দেন।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিক গ্রুপের এমডি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুর আলী, শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী আতা উদ্দিন খানের পুত্র হাসানুজ্জামান খান, সাবেক এডিশনাল আইজিপি মো. নাজমুল হক পিপিএম, শহীদুল্লাহ খান, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু এবং শিক্ষক মন্ডলী, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬
ঋবহরফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় মামলা করেছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মচারীকে মারধর ও নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়াসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
ফুলগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ মামলা করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে এসআই আশিকুল ইসলাম ফুলগাজী থানায় মামলা করেছেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান আবদুল আলিম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের জন্য নিজেদের পছন্দের তালিকা প্রদান, এর বাইরে অন্য কাউকে মনোনয়নপত্র বিতরণে বাধা, নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মচারীকে মারধর এবং নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নির্বাচন কার্যালয় ঘিরে রাখে সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। তার আগে থেকেই চেয়ারম্যান আবদুল আলিমের লোকজন জেলা প্রশাসকের দপ্তরের বাইরে অবস্থান নেন। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কয়েকজন জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গেলে তাঁদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় মারধর করা হয় ফুলগাজীর জিএম হাট ও আনন্দপুর ইউপির দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম ও মো. ফখরুদ্দিনকে। তাঁদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া একই দিন ফুলগাজী উপজেলা সদরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর চালানো হয়। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আমিন আল আহসানের কাছে অভিযোগ করা হয়।
এসব ঘটনায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ ফরিদ কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন। কমিশন অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর দুপুরে ফুলগাজীর সব কটি ইউপির (আমজাদ হাট, দরবারপুর, ফুলগাজী, জিএম হাট, মুন্সিরহাট ও আনন্দপুর) নির্বাচনের তফসিল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নজরে আসার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এরপরই পুলিশের তরফ থেকে ওই মামলা করা হলো।