Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

29kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬ : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৭৩৪টি ইউপিতে চলছে জমজমাট প্রচারণা কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর আচরণবিধি তদারকিতে মাঠে নামানো হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বরাবরের মত এবারও ইসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত একজন ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে নামেন নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রার্থীরা ভোট চাইতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেক স্থানে অভিযোগ উঠেছে, প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণবিধি লংঘন করছেন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা। কিন্তু আচরণবিধি তদারকিতে এখনও মাঠে নামানো হয়নি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর তাই আচরণবিধি লংঘনের ঘটনায় দোষীদের সাজা দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির উপ সচিব আসফাকুর রহমান জানান, আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি। তবে কেন এখনও ম্যাজিস্ট্রেট নামানো হলো না এ বিষয়টি ইসি খতিয়ে দেখছে। প্রযোজনে আবারও চিঠি পাঠাব আমরা।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর থেকে এবং বাকি চারজন ভোটের দু’দিন আগ থেকে পরের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষ করছেন নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করেছেন তারা।
কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা সমর্থক বিধিমালা লংঘন করলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ইউপি নির্বাচনে রিটার্নিং কমকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই। কেউ বিধিমালা লংঘন করে প্রচার চালালে এ দণ্ড দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেদের। তারা মাঠে না থাকায় আচরণবিধি লংঘনকারীদের সাজা দেয়া যাচ্ছে না।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম ধাপে ৮ বিভাগের ৩৭টি জেলার ১০১ উপজেলার ৭৩৪টি ইউপিতে প্রথম ধাপে ভোট হবে। ২ মার্চ ইসির আইন শাখা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ১০১ উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯- এর আওতায় আইনশৃংখলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য সব মিলিয়ে ৪০৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর মধ্যে প্রতি উপজেলায় একজন করে ১০১ জন ম্যাজিস্ট্রেট প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ মার্চ থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য আচরণবিধি সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য থাকবেন। এছাড়া ভোটের দু’দিন আগ থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত চারদিনের জন্য আরও ৩০৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।