Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

43kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ মার্চ ২০১৬ : আয়করের ঝামেলার ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অর্থাৎ বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত সাড়ে তিন হাজার মার্কিনি স্বেচ্ছায় তাদের নাগরিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ফেরত দিয়েছেন তাদের পাসপোর্টও। আয়কর সংক্রান্ত নানা জটিলতাসহ ইন্টার্নাল রেভেন্যু সার্ভিসে (আইআরএস)-এর অহেতুক হয়রানির মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে প্রচুর সংখ্যক মার্কিনি স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্টের নাগরিত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন।এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
ছয় বছর আগে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর কর নিয়ে নাগরিকদের মাথাব্যথা অনেকাংশেই বেড়েছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি সংখ্যক আমেরিকান নিজের দেশের পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে নাগরিকত্ব ছাড়ছেন বল সিএনএন মানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে বসবাসরতদের দেশটির সরকারের সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক’ চুকিয়ে ফেলার হার আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড তিন হাজার ৪১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা ২০০৮ সালের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর প্রবণতা আরও বেড়েছে বলে সিএনএন মানি জানিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ২৩১, ২০০৯ সালে ৭৪২, ২০১০ সালে ১৫৩৪, ২০১১ সালে ১৭৮১, ২০১২ সালে ৯৩৩, ২০১৩ সালে ৩০০০, ২০১৪ সালে ৩৪১৫ জন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এদের বেশিরভাগই বিদেশে কর্মরত আমেরিকান।
বিদেশে বসবাসরতদের সেখানকার নির্দিষ্ট কিছু সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের তথ্য জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যাতে আমেরিকানদের সব বিদেশি অ্যাকাউন্ট প্রকাশ হয়। আগে যেখানে ১০ হাজার ডলারের বেশি থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার বিধান ছিল এখন তার ওপর নতুন ওই বিধি এসেছে। কর ফাঁকি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন এই বিধিমালা এসেছে। শীর্ষ পর্যায়ের সুইস ব্যাংকগুলো বিদেশে অর্থ লুকিয়ে রাখতে আমেরিকানদের সহায়তা করার কথা স্বীকার করার পর এটা করা হয়। তবে তা বিদেশে অবস্থানরত ৭৬ লাখ আমেরিকানের জীবন কঠিন করে ফেলছে বলে সিএনএন মানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কর আদায়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে কঠোর নীতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নাগরিকদের সব ধরনের আয়ের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে, তা যেখান থেকে আয় করা হোক বা নাগরিক যেখানে বসবাস করুক না কেন। ফলশ্র“তিতে বিদেশে বসবাসরত আমেরিকানদের জন্য কর সংক্রান্ত বিপুল দাপ্তরিক কার্যক্রম এত জটিল হয়েছে যে, তারা বড় অংকের অর্থ খরচ করে একাউনটেন্ট ও আইনজীবী নিয়োগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০১০ সালে ‘ফরেন একাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স এ্যাক্ট’ কার্যকর হওয়ার পর এই ঝামেলা আরও বেড়েছে। এর ফলে স্বেচ্ছায় মার্কিন নাগরিকত্ব ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।