খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ : পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপোতা গ্রামের শ্রী শ্রী সন্তু গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর চন্দ্র রায়ের হত্যা মামলায় জেএমবি সদস্য হারেজ আলী আজ আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই মামলায় গত ১ মার্চ আলমগীর হোসেন নামে অপর আসামি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় গ্রেফারকৃত ও রিমান্ডে থাকা ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনই এখন কারাগারে। একমাত্র আসামি রমজান আলী এখনও ১৮ দিনের পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর আয়ুব আলী আজ রোববার পঞ্চগড় আমলি আদালত-২ এ আসামী হারেজ আলীকে হাজির করে।
আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম মার্জিয়া খাতুন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবাববন্দিতে হারেজ আলী ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছে। সে পেশায় একজন রিকশা-ভ্যান চালক। সে জেএমবির একজন এহসার সদস্য। পুলিশ গত ২৫ ফেব্র“য়ারি রাতে হারেজ আলী, আলমগীর হোসেন ও রমজান আলীকে গ্রেফতার করে। হারেজ আলীর বাড়ির গোয়ালঘর খুঁড়ে পরোহিত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। আদালতের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম খান জানান, হারেজ আলী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গত ২১ ফ্রেব্র“য়ারি দেবীগঞ্জ উপজেলার সন্ত গৌড়ীয় মঠে গিয়ে দুর্বৃত্তরা অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর চন্দ্র রায়কে (৫০) চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। গত ১ মার্চ রিমান্ডে থাকা আলমগীর হোসেন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।