খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ : “নারীরা কি মানুষ” এই শিরোনামে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এক সৌদি নাগরিক। সৌদি একাডেমি ফর ট্রেইনিং এন্ড কনসাল্টিং-এর পরিচালক ফাহাদ আল-আহমাদি ফেসবুকে প্রশিক্ষণ কোর্সের এই শিরোনামটি পোস্ট করলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে এর তীব্র নিন্দা করেন। খবর আরব নিউজের
এদিকে, একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে বিষয়টি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন ফাহাদ আল-আহমাদি । তা স্বত্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা সমালোচা থেমে থাকেনা। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ এ তাদের মতামত শেয়ার করেন।
আব্দুল কাদের আল-শাহরানি তার পোস্টে বলেন, “নারীরা মহৎ মানুষ। কারণ তারা কৈশোরে মা বাবার জন্য বেহেশতের দরজা খুলেন। যৌবনে স্বামীর অর্ধেক ধর্ম পালন করেন এবং মাতৃত্ব অর্জনের পর স্বর্গ থাকে তাদের পায়ের নিচে।”
অনেকে তাদের পেস্টে নারীর সৌন্দর্য, মর্যাদা, আনুগত্য এবং অন্যান্য গুনের ব্যখ্যা দেন। এমনকি নারীদের সম্পর্কে নবীজির (সা.) উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। নারীর গুরুত্ব এবং মূল্য ব্যাখ্যা করেন এবং আল-আহমাদির পোস্টের প্রতিবাদ করেন।
আব্দুল করিম আল-হারবি টুইট করেন, ‘একজন মা তোমার জন্য স্বর্গ এনে দিতে পারেন, একজন কন্যা তেমাকে আগুন থেকে বাঁচাতে পারে, একজন স্ত্রী তেমার অর্ধেক ধর্ম পালন করতে পারে, এর পরও জানতে চায়- নারীরা কি মানুষ?’
ফাদওয়া আল-তাইয়ার একজন টেলিভিশন প্রেজেন্টার। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক নারীদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য দেখে। আমরা ভুলে গেছি সমাজের অর্ধেকই নারী। নারীরা দেশের শীর্ষ স্থানগুলোতেও নিযুক্ত হচ্ছেন। নারীদের শক্তি এখন সমাজে প্রমাণিত।’
মনস্তাত্বিক মোহম্মদ আযেব বলেন, নারীদের সম্মানের সাথে কদর করা উচিৎ। কেউ যদি নারীদের ধ্বংস করতে চায় তবে রাষ্ট্রের উচিৎ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ।
আইনজীবী আশের আল-সারাজ বলেন, কেউ যদি অন্যদের অপদস্ত বা হয়রানি করে তার এক বছরের কারাদ-সহ ৫ লাখ সৌদি রিয়েল জরিমানা হতে পারে।