খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ : আবারও স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্টে এদেশের কোটি কোটি প্রাণ। স্বপ্নের এতো কাছাকাছি পৌঁছানোর পরও হাতে উঠল না বিজয়ের মুকুট। শুধু কাপ ই হাতে আসে নি, কিন্তু বাকি সব তো আমাদের।
র্যাংঙ্কিংয়ের ১০ ও ১ নাম্বার দলের মাঝে খেলা হলে যে কেউ খুব সহজে বলে দিতে পারবে বিজয় হবে কোন দলের। এরপরও আমরা আত্মবিশ্বাসী যে কোন কিছু সম্ভব। শেষ অবধি কাপ ঘরে তুলতে না পারলেও অর্জনের কিন্তু অভাব ছিল না।
ফাইনালে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও ছিল বাংলাদেশের আধিপত্য। ফাইনাল খেলার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার উঠেছে ভারতের শিখর ধাওয়ানের হাতে। আর বাংলাদেশের হাতে উঠেছে-
১. রানার্স আপ- বাংলাদেশ
২. ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট- সাব্বির হোসেন
৩. সেরা ব্যাটসম্যান- সাব্বির হোসেন (১৭৭ রান)
৪. সেরা বোলার- আল আমিন (১১ উইকেট)
৫. সেরা এভারেজ- মাহমুদউল্লাহ
৬. সর্বোচ্চ ডট বল- তাসকিন
৭. সর্বোচ্চ ক্যাচ-সৌম্য সরকার
সকল দিকেই সেরা বাংলাদেশ। নিজেদের লক্ষ্যে অটুট ছিলেন তারা। কিন্তু হয়ত ভাগ্যের কাছে হার মানতে হয়েছে তাদের।
তবে আজ আরেকটি পরিসংখ্যানের ব্যাপারে জানলে আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে এবং ভারতের থেকে তারা কয়েক গুণ এগিয়ে আছেন।
১. ভারত টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ১৯৩২ সালে এবং প্রথম জয় পায় ২০ বছর পর ১৯৫২ সালে। সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাবার পর ২০০৫ সালে ৫ বছর পর প্রথম জয় তুলে নেন।
২. ভারতের টেস্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি আসে ৩২ বছর পর আর বাংলাদেশের আসে ১২ বছর পর।
৩. ভারত ১৯৭১ সালে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার মর্যাদা পেয়ে ৮ বছর পর ১৯৭৯ সালে প্রথম জয় লাভ করে। বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পায় এবং ১ বছর পর ১৯৯৮ সালে প্রথম জয় পায়।
এসকল পরিসংখ্যান দেখলে বুঝা যায়, বাংলাদেশ কোন ভাবেই পেছনে নেই। শুধু সময়ের সাথে সাথে শক্তিশালী হয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেদেরকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে দাড় করানো এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।