খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ :আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নির্বিচারে পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটন ও সিউল যখন আজ (সোমবার) থেকে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে তখন এ হামলা চালানোর হুমকি দেয়া হলো। উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন দেশটির সুপ্রিম কমান্ড অব দ্যা কোরিয়ান পিপলস আর্মি বা কেপিএ’র বরাত দিয়ে এ হুমকি দিয়েছে।
জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বিচারে পরমাণু হামলা চালিয়ে আগ্রাসন এবং যুদ্ধে আগ্রহী শক্তিগুলোকে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তিমত্তা দেখিয়ে দেয়া হবে। বিবৃতিতে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে অনুশীলনের নামে পরমাণু যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া বোতাম টেপা মাত্রই শত্রুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, উস্কানি সৃষ্টিকারী ঘাঁটিগুলো আগুনের সাগরে ঢেকে যাবে এবং মুহূর্তের মধ্যেই ছাইয়ে পরিণত হবে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশটির সামরিক বাহিনীকে যেকোনো সময় পরমাণু বোমা ব্যবহারের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেয়ার পরই এ হুমকি দেয়া হলো। ‘কি রিজলভ’ বা ‘ফোল ঈগল’ নামের দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর আগে আজ (সোমবার) খুব ভোরে এ হুমকি দেয়া হয়।
এ মহড়া আজ থেকে শুরু হয়ে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবছর এ মহড়া চালিয়ে আসছে। অবশ্য গত বছর মহড়ায় দুই দেশের যে পরিমাণ সেনা অংশ নিয়েছিল এবার তার চেয়ে চার গুণ বেশি সেনা অংশ নেবে।
এবারের মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির গভীরে ঢুকে অস্ত্র গুদামগুলোতে হামলা চালানোর অনুশীলন করা হবে। একই সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার সীমান্তে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি এ মহড়ার অংশ হিসেবে থাকবে। উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চীন ও রাশিয়া এবং পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলে তা যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য এ দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দিতে হবে বলে মার্কিনীরা মনে করে।
এর পাশাপাশি মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে একটি উভচর মহড়াও চালাবে। অবশ্য যৌথ মহড়ার বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং’র হুমকি নতুন কিছু নয়। সাধারণত এ ধরনের মহড়ার কঠোর নিন্দা ও সমালোচনা করে থাকে উত্তর কোরিয়া। আই আর আই বি।