খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০১৬ : অধিকাংশ নারীরাই স্বামী বা প্রেমিকের কাছে নিজেকে ভার্জিন (কুমারী) বলেই তুলে ধরতে পছন্দ করেন। খুব স্বাভাবিক! কেউ কি আর চাইবেন নিজেকে ‘খারাপ’, ‘দুশ্চরিত্র’ বলে জাহির করতে ? (আমাদের দেশে ভার্জিন না থাকাটা পাপ, ঘোর অন্যায়) মহিলা তো ছেড়েই দিন কোনও পুরুষও চান না, তার সম্বন্ধে প্রেমিকা বা তার স্ত্রী খারাপ ধারণা পোষণ করুন কিন্তু বাস্তব চিত্রটি বড়ই বিচিত্র। জেনে নিন ভার্জিন কতরকম হয় ?
১০০ শতাংশ খাঁটি, বিশুদ্ধ ভার্জিন
সোজা পাঁচ-ছয়ের দশক থেকে এদের আগমন। কস্মিনকালে কোনও পুরুষের হাতটিও ধরেননি, বাকিটা তো দূরের কথা। পাঁচ-সাতের দশকে বা তারও আগে এমন ভার্জিন পাওয়া যেত ঘরে ঘরে। এখনও পাওয়া যায়। কিন্তু সে সংখ্যাটা কম। বাবা-মায়ের অসম্ভব বাধ্যের। গুরুজনের অনুমতি ছাড়া কোনও পুরুষের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথাও বলেন না তারা। তাই সাবধান! এমন নারীকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভেবেচিন্তে এগোবেন। আগে বাড়ির লোকের অনুমতি নেওয়া মাস্ট। বিয়ের কথাটাও সেরে রাখুন।
কেননা, এমন ভার্জিনকে পাওয়ার একটাই রাস্তা। বিয়ে। জেনে রাখবেন বিয়ের আগে এঁদের ‘পাওয়া’ প্রায় অসম্ভব । যদি সত্যিই বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেন, তবেই এগোবেন ।
দুষ্টু ভার্জিন
এদের কনসেপ্ট – বিয়ে পর্যন্ত কে অপেক্ষা করবে ? তবে যাই হোক, আসল কাজটা নট অ্যালাউড। ওসব রিস্কের মধ্যে নেই। এরা গোপনে কিছুটা এগোন বই কী। কিন্তু ওই একটি জিনিস বাদ দিয়ে। সেটা হতে পারে একমাত্র বিয়ের পর। প্রেমিকের সঙ্গে বাকিটুকুতে মত আছে। ওই চুমুটুমু খাওয়া আর কী । খুব রোম্যান্টিক মেজাজে থাকলে আরও কিছুটা এগোতে পারে। দেহের সর্বাঙ্গে শিহরণেও তখন খুব একটা আপত্তি থাকে না। কিন্তু ব্যাস। ওই একটি জায়গায় গিয়ে ব্রেক । তারপর “না”। এদের সঙ্গে প্রেম করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। জেনে রাখবেন সবটুকু পেতে গেলে, বিয়ে কিন্তু মাস্ট ।
ননভেজ ভার্জিন
এরা এক কথায় লাকি। কিছুদিন বন্ধ থাকলেই সবকিছু যেন সেই আগের মতো। নতুন আনকোড়া। ফলে কারও বোঝার উপায় থাকে না, যে ইনি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, না অনভিজ্ঞ। ভাবপ্রকাশেও অবিকল সেই আগের ঘটনার রিপ্লে। নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ। ফলে বোঝে কার সাধ্য। ইঙ্গিত পেলে, এগোতে পারেন। সম্মতি পেলে, এগিয়ে যান। তবে কোনওমতেই জোরজবরদস্তি নয়। আজকাল আইনকানুন খুব শক্ত। ভুলচুক হয়ে গেলে বিপদে পড়বেন।