Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিমেল দাশ হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. সেলিম মিয়া এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন মাহমুদুল ইসলাম, সুনীল দাশ, মিজানুর রহমান, মো. হোসেন, নজরুল ইসলাম ও মো. সেলিম। তাঁদের মধ্যে সুনীল দাশ হিমেলের দূর সম্পর্কের চাচা।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ নাসের বলেন, সব আসামির বিরুদ্ধে কিশোর হিমেলকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সে কারণে আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। সম্পত্তির লোভে হিমেলকে হত্যা করা হয়েছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল হিমেল। ফল ঘোষণার চার দিন আগে বান্দরবানে বেড়ানোর কথা বলে মুঠোফোনে তাকে ডেকে নেন আসামিরা। এরপর থেকে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার চার দিন পর হিমেলের মা পাপিয়া সেনকে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন মামলার এক নম্বর আসামি মাহমুদুল ইসলাম। টাকা দিলে ছেলেকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। হিমেলদের বাসা থেকে মুক্তিপণ আনতে গেলে স্বজনেরা মাহমুদুলকে আটকে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ মাহমুদুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ মে বান্দরবানের দুর্গম নাগাঝিরি পাহাড় এলাকা থেকে হিমেলের লাশ উদ্ধার করে। অপহরণের পরদিনই হিমেলকে হত্যা করা হয়েছিল। মাহমুদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হিমেলের দূরসম্পর্কের চাচা সুনীলসহ অন্য আসামিদের জড়িত থাকার তথ্য পায় পুলিশ।
২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত হিমেলের মা ও মামলার বাদী পাপিয়া সেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলে হারানোর পর আমি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। ছেলেকে তো আর ফেরত পাব না, কিন্তু ন্যায়বিচার পেলাম। এখন একটাই চাওয়া, দ্রুত রায় কার্যকর।’