খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : ঢাকার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই অভিযোগপত্র দেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এতে খোরশেদ আলম, মেহেদি হাসান, মিতু আক্তার, কায়কোবাদ, নাসিমা বেগম ও জহিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে নাসিমা বেগম ও জহিরুল ইসলাম পলাতক। অন্য চারজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এই মামলায় ৩০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মোতাহার হোসেন, সুজন দাশ, শফিকুল ইসলাম ও হেদায়েতুল ইসলামের ঠিকানা না পাওয়ায় এই চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) নিখোঁজ ছিল। তাকে খুঁজতে থানা-পুলিশ হয়েছে। চলেছে খোঁজখবর করা। একপর্যায়ে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা। এরপরও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি তারা। ২ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার আবদুল্লাহদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে মোতাহার পলাতক ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় সাংসদ ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মুগারচর গ্রামে আবদুল্লাহর বাড়িতে যান। তিনি এ হত্যা মামলা তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজও যান শিশুটির বাড়িতে। তিনি এ হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের খুনি মোতাহার বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকুক না কেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
৭ ফেব্র“য়ারি এই হত্যা মামলার সন্দেহভাজন মূল আসামি মোতাহার হোসেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।