Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০১৬ : কক্সবাজারে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ট্রু এভিয়েশনের একটি কার্গো বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে তিন বিদেশি ক্রুর মৃত্যু হয়েছে, মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরেকজনকে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর চার আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি সমুদ্রের নাজিরারটেক পয়েন্টে বিধ্বস্ত হয়।
এএন-২৬ মডেলের ওই উড়োজাহাজটি কক্সবাজার ও যশোরের মধ্যে চিংড়ি পোনা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান।
ট্রু এভিয়েশনের স্টেশন ম্যানেজার এস এম হাসনাত জাহান জানান, হতাহতরা সবাই ইউক্রেইনের নাগরিক। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনও তাদের জাতীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈকত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তল্লাশিতে যোগ দেন।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ওই বিমানের ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ আন্দ্রে (৪৭) ও কো ক্রু ডলোডায়মারকে (৪৪) উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তাদের মধ্যে আন্দ্রেকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং ডলোডায়মারকে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয় বলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান। রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন অফিসার আবদুল মজিদ জানান, বিমানটির লেজের একটি অংশ পানির উপরে ভাসছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরে ভাটা শুরু হলে বিমানটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সরে যায়। এ কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
বিকালে সোনাদিয়া এলাকায় ওই বিমানের ভেতরেই পাইলট মুরাদ কাপারত ও কো-পাইলট ইভান ডেমানের লাশ পাওয়া যায় বলে সদর থানার অপারশেন অফিসার মো. আবদুর রহিম জানান।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বলেন, “দুর্ঘটনায় পড়া ওই বিমানে চিংড়ি পোনা ভর্তি ৯৭২টি বাক্স ছিল। তবে ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি যশোরযাত্রা বাতিল করে কক্সবাজারে জরুরি অবতরণের জন্য বার্তা পাঠায়। কিন্তু এর পরপরই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
নৌবাহিনীর জাহাজ অপরাজেয় ও অতন্দ্র এবং একটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফট এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় বলে ঢাকায় নৌ সদর দপ্তরের লেফটেন্যান্ট মো. বদিউজ্জামান জানান।