Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০১৬ : ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তিতে পারদর্শী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং কম্পিউটার ল্যাব বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ক্ষুদে কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের ‘জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৬’ আসরের ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক পর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্পেশালাইজড’ ল্যাব করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে দুই হাজার হাই স্কুল ও কলেজে শেখ রাসেল কম্পিউটার কাম ল্যাংগুয়েজ ল্যাব স্থাপন করছি।
“বাংলাদেশে এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং কম্পিউটার ল্যাব যত দ্রুত সম্ভব স্থাপন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
“একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনৈতিক দেশে থেকে ডিজিটাল অর্থনৈতিক দেশে রূপান্তর করতে চাই।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “সম্ভাবনার দ্বার প্রযুক্তি। এজন্য প্রোগ্রামিং জানতে হবে, কোডিং জানতে হবে। বিজ্ঞান, অংক, ইংরেজি ভাল করে শিখলে জীবনে ভাল কিছু করা যায়, এর সাথে আরেকটি বিষয় ছোটকাল থেকে শুরু করতে হবে- তা হচ্ছে প্রোগ্রামিং এবং কোডিং।”
প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “শিশু কিশোর তরুণদের ভবিষ্যতের পৃথিবী জয় করার জন্য এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকায় আগামী ৫ বছরে ২০ লাখ প্রোগ্রামার দরকার হবে, আমাদের দেশেও আগামী ৫ বছরে কয়েক লাখ প্রোগ্রামার দরকার হবে।
“আমরা টার্গেট ঠিক করেছি, ২০২১ সাল নাগাদ কয়েক বিলিয়ন ডলার আইটি খাত থেকে রপ্তানি করব। আমরা ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান আইসিটি সেক্টরে করব।”
প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক উৎকর্ষের দিকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
“প্রযুক্তির পাশাপাশি মানসিকতার দিক থেকেও এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের ১৬টি অঞ্চলে এই প্রতিযোগিতা হবে। এ পর্বের বিজয়ীরা ৯ এপ্রিল ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বসবেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে দেশব্যাপী এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে মোবাইল অপারেটর রবি।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, “এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। এই প্রতিযোগীদের মাঝ থেকে ভবিষ্যৎ কর্ণধার বের হয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের (আইআইটি) পরিচালক ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বক্তব্য রাখেন।