Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬ :৪ মার্চ তিনি এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মেনেছেন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে। শুক্রবার অকল্যান্ডের হোলি ট্রিনিটি ক্যাথিড্রালে সম্পন্ন হল মার্টিন ক্রোর শেষকৃত্য। এক হাজারজন উপস্থিত ছিলেন শেষকৃত্যে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মার্টিন ক্রোর পরিবারের লোকেরা। ছিলেন তুতো ভাই হলিউডের তারকা রাসেল ক্রো। ছিলেন সতীর্থরা। আবেগে, চোখের জলে বিদায় জানালেন সবাই। মার্টিন ক্রোর দাদা জেফ জানিয়েছেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ যে ভাবে মার্টিনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তা আমাদের পরিবারের সবার মন ছুঁয়ে গেছে।’
মার্টিন ক্রো যেদিন মারা যান, তখন জেফ ক্রো ছিলেন বাংলাদেশে। ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করছিলেন। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর যন্ত্রণা বুকের মধ্যে। গত এক সপ্তাহ ধরে হয়ত কান্না দলা পাকিয়েছিল গলার কাছে। বেরিয়ে এল ভাইয়ের শেষকৃত্যের সময়। জেফ জানিয়েছেন, ‘ও কতখানি ছাপ রেখেছে তা এখন বুঝতে পারছি। ওয়াসিম আক্রাম যেমন বলেছে, ও যাদের বিরুদ্ধে বল করেছে, তাদের মধ্যে মার্টিনই গ্রেটেস্ট ব্যাটসম্যান। যথার্থই মার্টিন সবার প্রেরণা।’ নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটকিপার ইয়ান স্মিথ অ্যালান বর্ডারের একটি বার্তা পড়ে শোনান।
প্রতিপক্ষের ক্রিকেটার সম্পর্কে কী লিখেছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রেটেস্ট? ‘ক্রিকেট তাঁর আইকন প্লেয়ারদের একজনকে হারাল। ওকে সবাই মনে রাখবে। খুব মিস করব। কখনও ভুলব না। সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’ বর্ডারের বার্তা পরে শোনানোর পর, ইয়ান স্মিথ নিজে বলেন, ‘মার্টিন ক্রোর ক্রিকেট মস্তিষ্ক ছিল ক্ষুরধার। তুলনাহীন। ক্রো সময়ের আগে গিয়ে ভাবতে পারত।’
গুরুগম্ভীর পরিবেশে হালকা হাসির রেখা ফুটে উঠল সবার ঠোঁটের কোণে, যখন মার্টিন ক্রোর কিছু দুষ্টুমি, কিছু মজার কাণ্ড উল্লেখ করেন স্মিথ। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে ড্রেসিংরুমে কীভাবে প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের টেকনিক নকল করতেন ক্রো, কীভাবে সতীর্থদের জোর করতেন শুধুই তাঁর তুতো ভাই রাসেল ক্রো-র সিনেমা দেখার জন্য- সে সব কাহিনী বলেন। শুক্রবার শেষকৃত্যে রাসেল ক্রো হাজির থাকলেও, তিনি ভাইকে নিয়ে কোনো কথা বলেননি। স্মৃতিচারণ করেননি। সারাক্ষণ চুপচাপ ছিলেন। তবে ভাইয়ের কফিনে কাঁধ দেন। ইয়ান স্মিথ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আরও বলেছেন, ‘মৃত্যুর ক’দিন আগেই মার্টিন ক্রোর সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। রোগে ভুগে তখন শরীরটা জীর্ন হয়ে গেছে। মার্টিনের ওই মুখটা মনে রাখতে চাই না। পিচে সেই দাপুটে মেজাজ, সেই পারফেক্ট স্ট্রেট ড্রাইভ, মাথায় সেই সাদা হেলমেট পড়া মার্টিনের মুখটাই মনে রাখব।’