Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

26kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬ : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার মার্কিন ডলার হ্যাকিং করে নেয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।
এর মধ্যে শুধু ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকার নিতে পেরেছে। বাকি ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া থেকে প্রতিহত করা গেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিবৃতিতে বলছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের ৯৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩০টি নির্দেশের ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া শুরুতেই প্রতিহত করা গেছে। অবশিষ্ট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দুই কোটি ডলার এরই মধ্যে ফেরত আনা গেছে। বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকা) ফেরত আনার প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অথচ গত ৯ মার্চ প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা সাংবাদিকদের বলেছেন, হ্যাকড হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) ফিলিপিন্সে গেছে। ২০ মিলিয়ন ডলার গেছে শ্রীলঙ্কায়। ফিলিপিন্সে যে অর্থ গেছে, তার একটি অংশ এখনও সেখানকার ব্যাংকে আছে। আর কিছু টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে। শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে যে ২০ মিলিয়ন ডলার গিয়েছিল, সে অর্থ আমরা ইতোমধ্যে ফেরত পেয়েছি।
শ্রীলঙ্কায় পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শুভঙ্কর সাহা প্রথমে জমা হয়েছে বলেই পূণরায় বলেন, এখনও জমা না হলেও সেটি জমা হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
একই দিনে ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যম জানায়, ১০১ মিলিয়ন ডলারের বাইরে অতিরিক্ত ৮৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্যাকড হয়েছিল। যা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ফিলিপাইনে গিয়েছিল। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককের সন্দেহ হওয়ায় এ বিপুল পরিমাণ অর্থ জব্দ করে। পরে সে অর্থ ফেরত যায় ফেডারেল রিজার্ভে। এভাবেই রক্ষা পায় বাংলাদেশের টাকা।
তখনও এ বিষয়ে কোন কথা বলেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপাইনের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সে সংবাদ প্রকাশ করে বাংলাদেশের গণমাধ্যম।
শুক্রবার বন্ধের দিনে ব্যাংকের একাউন্ট হ্যাকড করে আরও অর্থ নেওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
একইসঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সাইবার আক্রমণের ঘটনায় হারানো তহবিলের অঙ্ক নিয়ে কোনো কোনো মহলে অতিরঞ্জিত তথ্য ও গুজব পরিবেশনের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।